1. admin2@kalernatunsangbad.com : admin : Admin
  2. admin@kalernatunsangbad.com : Khairul Islam :
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন

লিবিয়ায় বৃষ্টি সহ ঘূর্ণিঝড়-বন্যায় কমপক্ষে ১৫০ জনের প্রাণহানি

  • প্রকাশ কাল মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ১৩৭ বার পড়েছে

ওয়াসিম কামাল, লিবীয়া থেকে

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এবং ভারী বন্যায় গত দুই দিনে কমপক্ষে ১৫০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে নিখোঁজ রয়েছেন আরও কয়েক ডজনের বেশি মানুষ।
যে কারণে মৃতের সংখ্যা দুই শতাধিক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গতকাল সোমবার বেনগাজিতে রেড ক্রিসের প্রধান কাইস ফাখেরি বলেন, ‘আমরা ভবন ধসের পর অন্তত ১৫০ জনের মৃত্যুর তথ্য রেকর্ড করেছি। মৃতের সংখ্যা আড়াইশ জনে পৌঁছাতে পারে শঙ্কা করছি। পরিস্থিতি খুবই বিপর্যয়কর।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দেশটির বেনগাজি, সোসি, আল-বায়দা, আল-মারজ এবং দারনা শহরে ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় তলিয়ে যাওয়া গাড়ির ছাদে অনেক মানুষ আটকা পড়েছেন।
গতকাল সোমবার দারনা শহরের বাসিন্দা আহমেদ মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম, ঘুম ভাঙার পর দেখতে পাই বাড়িতে পানি। আমরা ঘরের ভেতরে রয়েছি এবং বের হওয়ার চেষ্টা করছি।’
নিখোঁজদের মধ্যে লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) সাত সদস্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলএনএর মুখপাত্র আহমদ মিসমারি। খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন এই বাহিনী বিভক্ত দেশটির পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে।
পূর্ব লিবিয়ার আলমোস্তকবাল টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফুটেজ দেখা যায়, প্রবল বন্যায় যানবাহন ভেসে যাচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, উপকূলীয় শহর দারনায় পানির স্তর বিপৎসীমার তিন মিটার (১০ ফুট) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলভিত্তিক সংসদ ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় প্রাণহানির ঘটনায় দেশে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে, ত্রিপোলির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ আল-বেইবাহও ক্ষতিগ্রস্ত সব শহরে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলকে ‘দুর্যোগ কবলিত’ এলাকা বলে অভিহিত করেছেন।
দেশটির প্রধান চারটি তেল বন্দর রাস লানুফ, জুয়েটিনা, ব্রেগা এবং এস সিদ্রা শনিবার সন্ধ্যা থেকে তিন দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে সেখানকার দুই তেল প্রকৌশলী জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। স্কুল ও দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে এবং কারফিউ জারি করেছে।

শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদসমূহ


প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST