নিজস্ব প্রতিবেদক :
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলায় রিপা আক্তার (৩২) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাতে উপজেলার জাওয়ার ইউনিয়নের পূর্ব জাওয়ার এলাকা থেকে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ গিয়ে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রিপা আক্তারের স্বামী শাহ আলম রোববার (২৭ আগস্ট) দুপুরে তাড়াইল থানায় আত্মসমর্পণ করে।
গৃহবধূ রিপা আক্তার কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নের মাওক্কার বন্দের ফিরোজ মিয়ার মেয়ে। গৃহবধূ রিপা আক্তারের পরিবারের দাবি, পরিকল্পিত রিপাকে হত্যা করা হয়েছে। সংসার জীবনে রিপা আক্তারের ৪ বছর বয়সী ও ২ বছর বয়সী দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন যাবত স্বামী শাহ আলম ও রিপা আক্তারের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। এই কলহের জেরে গত শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে তুমুল ঝগড়াঝাটি হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে রিপা আক্তারের পেটে জোরে লাথি দেয় শাহ আলম। এতে অসুস্থ হয়ে যায় রিপা আক্তার। কিন্তু স্বামীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা রিপার চিকিৎসার জন্য কোথাও নিয়ে যায়নি। পরে শনিবার (২৬ আগস্ট) রাতে মারা যায় রিপা আক্তার। পুলিশ খবর পাওয়ার আগেই স্বামী শাহ আলমসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে রাতেই শাহ আলমের বড় বোন মেহেরুন্নেছাকে তার স্বামীর বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।
রিপা আক্তারের বাবা ফিরোজ মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমার মেয়েকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করত শাহ আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার রাতে আমার মেয়ের পেটে কয়েকটি লাথি দেয় তার স্বামী। আমার মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে শাহ আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনসুর আলী আরিফ বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপা আক্তারের স্বামী শাহ আলম রোববার (২৭ আগস্ট) দুপুরে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।