সোহেল রানা রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান
রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) লিয়াজোঁ ও প্রটোকল অফিসার ইসমাঈল হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি এ ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আগামী ৩০ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি করার অভিযোগ রয়েছে।
গত ২০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ১৩তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পরদিন এ সংক্রান্ত চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, স্বাস্থ্য বিভাগের যুগ্ম-সচিব মল্লিকা খাতুন এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী।
রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহা. আনোয়ারুল কাদের বলেন, রামেবির সিন্ডিকেটের ১৩তম সভার সিদ্ধান্তে ইসমাঈল হোসেনের নিয়োগের বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্তের জন্য কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন তিনি চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত থাকবেন। গত ২০ আগস্ট তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তকালীন তিনি বিধি অনুযায়ী ভাতা পাবেন বলেও জানান তিনি।
রামেবি লিয়াজোঁ ও প্রটোকল অফিসার পদে যোগদানের সময় ইসমাঈল হোসেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। তিনি ওই পদে নিয়োগ পেলেও বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের (ভিসি) ভারপ্রাপ্ত একান্ত সচিব (পিএস) এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে এতদিন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরে তার বিরুদ্ধে জাল সনদ জমা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনায় সিন্ডিকেটের অনুমোদন ছাড়াই তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করেন ভিসি। আর ওই কমিটি ইসমাঈলের পক্ষেই প্রতিবেদন দাখিল করে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভায় ফের তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়।