মোস্তফা শাওন
ঃ সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের একদফা দাবীতে কিশোরগঞ্জে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৭৭ রাউন্ড রাবার বুলেট ও এক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে দলটির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন। এছাড়া ১০ জন পুলিশ ও দুইজন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সকাল থেকে বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভার বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা মিছিল নিয়ে জেলা শহরের সরকারি গুরুদয়াল কলেজ মাঠে জমায়েত হতে থাকে। দুপুর সাড়ে ১২টায় বিএনপি’র মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক হয়ে রথখলা এলাকায় পৌছলে পুলিশী বাধার মুখে পড়ে। এ সময় পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি সামনের দিকে অগ্রসর হতে পুলিশের সাথে চাইল ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।
বাধা পেয়ে উত্তেজিত বিএনপি কর্মীরা পুলিশ লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জসহ গুলিবর্ষণ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বিএনপি নেতা কর্মীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় পুলিশ ও বিএনপি নেতা কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার প্রায় আধা ঘন্টা রথখলা এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকে এবং আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা দোকান পাট বন্ধ রাখেন। সংঘর্ষের সময় নিক্ষিপ্ত ইটের আঘাতে মানব জমিনের স্টাফ রিপোর্টার আশরাফুল ইসলাম ও চ্যানেল চুয়েন্টি ফোর এর জেলা প্রতিনিধি খায়রুল আলম ফয়সাল আহত হন।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপি’র সভাপতি শরিফুল আলম জানান, বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ কর্মসুচিতে পুলিশ বিনা উস্কানীতে লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করেছে। এর ফলে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন, সিনিয়র সহ সভাপতি মোশতাক আহমেদ শাহিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুজ্জমামন পার্ণেল, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল আলম আলমগীর, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাফিউল আলম নওশাদ, তাঁতী দল হোসেনপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক মোঃ পারভেজসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অপরদিকে সহাকারী পুলিশ সুপার মোস্তাক সরকার জানান, দায়িত্ব পালনরত পুলিশের বিএনপি’র নেতা কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জসহ গুলিবর্ষন ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পরদির্শক (তদন্ত) মোঃ শ্যামল মিয়া জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৭৭ রাউন্ড রাবার বুলেট ও এক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে। সংঘর্ষে ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে এবং ওসির গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।