বেলাব (নরসিংদী) প্রতিনিধি:নরসিংদীর রায়পুরায় মামলা উঠিয়ে নেয়ার পাশাপাশি পুনরায় হামলার ভয়ে অন্তত ১২টি পরিবার বাড়ি ঘর ছাড়া অন্ত্র বসবাসের অভিযোগ উঠেছে বর্তমান ইউপি সদস্য ফরিদ মেম্বার ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের আবুল কালামের সাথে ইউপি সদস্য মো: ফরিদ মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে ধরে বৈদেশিক টাকাসহ পূর্বশত্রুার জেরে বিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিক বার হামলা মামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ১২ মে আহত মোর্শেদ মিয়ার স্ত্রী কবিতা বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ৫ জনের নামে রায়পুরা থানায় একটি মামলা করেন। অভিযুক্ত ফরিদ মেম্বার ভুক্তভোগী পরিবারকে মামলা উঠিয়ে নিতে চাপ দেন। প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে গত রমজান মাস থেকে ভুক্তভোগী ১২ টি পরিবার পাশ্ববর্তী উপজেলা ভৈরবসহ অন্যত্র ভাড়া বাসা ও স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছেন। ফলে কাংখিত শিক্ষা থেকে শিশুরা বঞ্চিত হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
ভোক্তভোগী কালামের অভিযোগ, অন্যায় ভাবে ফরিদ মেম্বার ও তার লোকজন আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে আহত করে। দায়েরকৃত মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে বাড়ি ছাড়া করে। তাদের অত্যাচারে আমিসহ অন্তত ১২টি পরিবার গত রমযান থেকে বাড়ী ছেড়ে ভৈরবে ভাড়া বাসায় আশ্রয় নিয়েছি।
ভুক্তভোগী করুনা বেগম, তাসলিমা, পন্ডিত মিয়া বলেন, আমরা বাড়িতে উঠতে চাইলে মারধোর করে। তাদের ভয়ে বাড়িতে উঠতে পারছিনা। পরিবার নিয়ে বাড়িতে উঠতে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।
এবিষয়ে মো; ফরিদ মেম্বার মামলায় জেল হাজতে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
অভিযুক্ত ফরিদ মেম্বারের ভাই কাজলের দাবি মোরশেদ বিদেশে লোক পাঠানোর নাম করে এলাকার ১৪ জনের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নেয়। ভুক্তভোগীরা প্রতিনিয়ত মেম্বারের নিকট নানান অভিযোগ করে আসছিলো। আমাদের একজনের কাছ থেকে বিদেশে নেয়ার কথা বলে ৪ লাখ টাকা নেন। টাকা না দিয়ে কৌশলে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করে আসছে। এ নিয়ে গ্রাম্য পালিশ দরবার মিমাংসা হলেও তা উপেক্ষা করে। তারা কৌশলে বাড়িতে আসছেনা।
মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহীর জানান, ফরিদ মেম্বার ও কালাম মাঝে বিরোধ বিদেশী টাকার লেন দেনকে নিয়ে। এ বিরোধ মিমাংসার জন্য একাধিক বার চেষ্টার করা হয়েছে। ১২টি পরিবার বাড়ী ছাড়া এটি সঠিক না। তবে ১২-১৪জন লোক হবে বাড়ীর বাহিরে। তাদের কে বাড়ীতে আসার একাধিক বার উদ্যোগ নিলেও তারাই আসেন নি। বাড়ীতে ফিরলে তাদেরকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক মো আলমগীর সরকার বলেন, মির্জাপুর গ্রামের ঘটনায় থানায় মামরা হয়েছে। মেডিক্যাল সার্টিফিকেট পেয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্খা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় মেম্বার বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে।