নিজ্স্ব প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জে সহজ শর্তে ঋণদানের নামে টাকা হাতিয়ে নিয়ে এক প্রতারক আটক হয়েছে। প্রতারিত এক আইনজীবী সহকারীর সহকর্মীরা ২৫ জুন রোববার আদালত চত্বর থেকে তাকে আটক করেছেন। প্রতারক পাকুন্দিয়া পৌর সভায় ৪নং ওয়াডের নিশ্চিন্তপুর এলাকার ননী গোপাল নাহার ছেলে সাগর নাহা উত্তম। তিনি ডাচ্্বাংলা ব্যাংক থেকে দুই ভাগ সুদে দুইলাখ তিনলাখ টাকা ঋণ প্রদানের নামে মানুষের কাছ থেকে নগদ টাকাসহ স্বাক্ষরিত ব্যাংকের খালি (ব্ল্যাঙ্ক) চেক ও স্বাক্ষরিত খালি ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প আদায় করতেন। প্রতারণা করার জন্য ভুয়া ভিজিটিং কার্ডও বিতরণ করতেন। এরপর চেকের ওপর মোটা অঙ্কের টাকার অঙ্ক বসিয়ে তাদের নামে আদালতে চেক ডিসঅনারের মামলা করে হয়রানি করতেন। সঙ্গে খালি স্ট্যাম্পের ওপর মোটা অঙ্কের টাকা নেয়ার চুক্তিনামা লিখে সেটিও আদালতে জমা দিতেন।
আজ ২৫ জুন রোববার দুপুরে আদালতে গিয়ে দেখা গেছে, উত্তমকে আইনজীবী সহকারী সমিতির সভাপতি আব্দুল আউয়াল বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক ভূঁইয়া রতনসহ তাদের সহকর্মীরা সমিতি কার্যালয়ে উত্তমকে আটকে রেখেছেন। উত্তমের বুকে ‘প্রতারক আটক’ লেখা স্টিকার রয়েছে। তিনি পাকুন্দিয়ার সৈয়দগাঁও এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে আবু হানিফের কাছ থেকে ঋণ দেয়ার নাম করে ন্যাশনাল ব্যাংকের একটি স্বাক্ষরিত খালি চেক এবং হানিফের স্বাক্ষরিত ৩০০ টাকার একটি খালি ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে খালি চেকের ওপর ২২ লাখ টাকার অঙ্ক বসিয়ে নেন এবং স্ট্যাম্পে ২২ লাখ টাকা নেয়ার চুক্তিনামা লিখে নেন। পরে চেকটি ব্যাংকের পাকুন্দিয়া শাখায় জমা দিয়ে ডিজঅনার করিয়ে আদালতে মামলা ঠুকে দেন।
এ মামলাটি উত্তম যে আইনজীবীর মাধ্যমে করেছেন, এক পর্যায়ে তাঁর সহকারী মাহমুদাকে ও তাঁর নানী মর্জিনাকেও ঋণ দেয়ার প্রলোভনের ফাঁদে ফেলেন। তাঁদের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়েছেন। ২২ লাখ টাকার মামলার কাজে রোববার আদালতে আসলে মাহমুদা ও তাঁর নানীর সহায়তায় অন্য আইনজীবী সহকারীরা প্রতারক উত্তমকে আটক করেন।
উত্তম ৫-৬ বছর ধরে ঋণ দেয়ার পেশা নিয়েছেন এবং অনেককেই ঋণ দিয়েছেন বলে এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত মাহমুদা ও তাঁর নানী মর্জিনাকে আগামী রোববার ৪০ হাজার টাকা ফেরত দেবেন মর্মে একটি স্ট্যাম্পে চুক্তি করার পর উত্তমকে ছেড়ে দেয়া হয়