স্টাফ রিপোর্র্টার ঃ কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার দুই জনকে সরকারি চাকুরি দেওয়ার নামে প্রতারনা করে ভুয়া মেজর ও ম্যাজিষ্ট্রেট সেজে চল্লিশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার মামলা সুত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের কুতকাইল গ্রামের মৃত ছফুর উদ্দিনের পুত্র মেজর পরিচয় দানকারী দিদারুল ইসলাম এবং ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার বৌলা গ্রামের আব্দুল মুনসুরের মেয়ে ম্যাজিষ্ট্রেট পরিচয় দানকারী তাপসী রাবিয়া বসরী (জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী)কে আটক করেছে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ। মামলা নং ১৫/২৮৫ তারিখ ৭-৬-২৩ইং, ধারা ১৭০/৪০৬/৪২০/৫০৬ দঃ বিঃ।
মামলার বাদী শফিকুর রহমান জানান,আমার পূর্ব পরিচিত সেনাবাহিনীর মেজর পদে চাকুরীরত দিদারুল ইসলাম প্রায়ই সেনাবাহিনীর পোষাক পড়ে সাথে অস্ত্রসহ বডিগার্ড নিয়ে এলাকায় আসতেন এবং সবাইকে বলেন তার স্ত্রী ঢাকার উত্তরার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পদে চাকুরী করেন। আলাপকালে সে বলে সরকারি যেকোন চাকুরী করতে চাইলে আমি ব্যবস্থা করে দিতে পারবো। এরই ধারাবহিকতায় আমার সাথে দীর্ঘ দিনের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে আমার শ্যালককে নৌপরিবহনের স্টোরকিপার পদে চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার জন্য তাকে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয় । অন্যদিকে বত্রিশ এলাকার এমদাদ উদ্দিনের আত্মীয়কে বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি পদে চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার জন্য সেখান থেকেও ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়। তাদের সাথে ঐ চক্রের পুলিশের সাবেক এডিশনাল এসপি পরিচয় দানকারি এক ব্যাক্তি বিভিন্ন সময় ফোনে আমাদেরকে চাকুরি হবে বলে নিশ্চিত করেন। চক্রটি লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষার ফলাফল অনলাইনে জালিয়াতি করে আমাদেরকে বোকা বানিয়ে ভুয়া নির্বাচিত ফলাফলের কাগজ দিয়ে সমস্ত টাকা পয়সা ও লিখিত স্টাম্প নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে আমরা প্রতারনার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ফোন করলে(০১৬১০-২৬০২২১/০১৬৩৩-১৩৯৫৬২/০১৬০৯-৭৪৯৯১৭) ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। গত ৬ জুন ২০২৩ সন্ধ্যা তাকে কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে পেলে টাকা ফেরত চাইলে টাকা দিতে অস্বীকার করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
এ ঘটনার খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে শফিকুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে তাদেরকে পুলিশ কোর্টে সোপর্দ করে। বর্তমানে তারা কিশোরগঞ্জ জেল হাজতে রয়েছে।