নিজস্ব প্রতিবেদক
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা সদর ও এলংজুরী ইউনিয়নের ছিলনী সড়কের মাঝে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখে রাস্তা পাকা করা হয়েছে। ফলে হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা। দূর্ঘটনার আতন্কে জনভোগান্তি এখন চরমে। এলজিইডি বা পবিস কেউ খুঁটি সরানোর দায়িত্ব নিচ্ছেনা। দ্রুত খুঁটি সরানোর দাবী এলাকাবাসীসহ পথচারী ও গাড়ি চালকদের।
সড়কে যানবাহন ও মানুষ চলাচলে ভোগান্তি হচ্ছে স্বীকার করে, ইটনা উপজেলা প্রকৌশলী রাশেদুল আলম বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ভুলস্থানে খুঁটি বসিয়েছে। রাস্তা পাকাকরনের সময় খুঁটি দুটি সরাতে বলেও, কোন লাভ হয়নি। তারা খুঁটি সরানোর ব্যয় চার্জ দাবী করে। আমাদের নিকট সেই অর্থ বরাদ্দ নেই। তবে, খুঁটিগুলো সরানো দরকার।
ইটনা মহেশ চন্দ্র সরকারি মডেল শিক্ষা নিকেতনের পিছন দিয়ে ইটনা-ছিলনি সড়কটি উপজেলার ব্যস্থতম সড়ক। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বিভাগ চার বছর আগে সড়কটি পাকা করে। এসময় সড়কে এগারো হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের দুটি খুঁটি সরানো হয়নি।
ফলে, পাকা সড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চার বছর ধরে চলাচল করছে মানুষ ও যানবাহন। প্রায় সময় ঘটছে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনা। খুঁটি সরাতে ইটনা পল্লী বিদ্যুৎ এরিয়া অফিসে বার বার বলেও প্রতিকার মিলেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই সড়কে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, ইটনা পুরান বাজার, ইটনা নতুন বাজার ও উপজেলা পরিষদে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়ত এবং শত শত অটোরিকশা চলাচল করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।
এই বিষয়ে অটোরিকশা চালক সাদ্দাম বলেন, রাস্তার উন্নয়নমূলক কাজের পর বিদ্যুতের খুঁটি একেবারে রাস্তার মাঝখানে চলে এসেছে। বিদ্যুতের খুঁটি তাড়াতাড়ি সরানো প্রয়োজন। না হলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
অটোরিকশা চালক সাদ্দাম আরও বলেন, কাঁচা রাস্তার উন্নতি হইছে, কিন্তু চলাফেরায় শান্তি নাই। ভয়ে ভয়ে গাড়ি চালাই কখন এক্সিডেন্ট করি। এই খুঁটি তাড়াতাড়ি সরানো দরকার, না হলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা হতে পারে।
কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ইটনা এরিয়া অফিসের সহ উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল জলিল মুঠোফোনে বলেন, সড়কের পার্শবর্ত্তী বাসিন্দারা খুঁটি সরানোর জায়গা দেন না। তবে, লিখিত আবেদন পেলে খুঁটি সরানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
.