সরকার অরুণ যদু,রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি।।
রাজারহাটে কাফনের কাপড় পরানো হলেও লাশ দাফন হয়নি। কাফনের কাপড় পড়ানোর পর দাফনের প্রস্তুতিকালে অস্বাভাবিক মৃত্যুর আলামত পাওয়ায় এক ব্যক্তির লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ মে) এঘটনায় তিনজনকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন মৃতের ছোট ভাই।
ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম রাজারহাট উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নের ঘুমারু ভিমশীতলা গ্রামে।
এজাহার ও পুলিশ সূত্র জানায়, উক্ত গ্রামের মৃত জহুর উদ্দিন খন্দকারের পুত্র আজিজুল হক (৬৫) গত শনিবার (১৩মে) বিকেলে কুড়িগ্রামে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তিনি যথাসময়ে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে রবিবার সকালে একই গ্রামের জনৈক মজিদ খন্দকারের জমির আইল থেকে উক্ত ব্যক্তির পরিত্যাক্ত লাশ উদ্ধার করেন এলাকাবাসী। পরে ওইদিন পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী মৃত দেহের গোসল করিয়ে লাশ দফনের উদ্দেশ্যে কাফনের কাপড় কাপড় পরিয়ে খাটলিতে রাখেন।
খবর পেয়ে মৃতের ছোট ভাই কুড়িগ্রাম সদরের পশ্চিম কল্যাণ (ধুলাউরা) গ্রামের বাসিন্দা ইদ্রিস আলী তার সদ্য মৃত বড় ভাইয়ের বাড়িতে আসেন। এসময় তিনি মৃত দেহের কপালের বাম পার্শ্বে ভুরুর উপরে ছিলাফুলা দাগ, ডান চোখের নিচে ছিলা দাগ, ডান কানের পিছনে কালো শিরা দাগ, নিচ ঠোটের নিচের অংশে ছোটছোট দুটি ছিলা দাগ, ঘার সামান্য ডান দিকে হেলানো, ডান হাতের কুনুইয়ে ছিলা জখম, বাম হাতের উপরের পিঠে ছিলা দাগ, দুই হাতের বোগলের পাশে চামড়া কুচকানো দাগ এবং তার পার্শ্বে জখমের দাগ, বুকের ডান ও বাম পাজর ও পেটের উপর চামড়া ছিলা দাগ, পিঠের ডান ও বাম পার্শ্বে ছিলা দাগ এবং ডান ও বাম পায়ের গোড়ালির উপরে পিছনে চামড়া ছিলা দাগ দেখতে পান। পরে তিনি বিষয়টি রাজারহাট থানা পুলিশকে অবগত করেন।
খবর পেয়ে থানার এসআই নিরঞ্জন রায় সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্টে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পান। এরপর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
মৃতের ছোট ভাই ইদ্রিস আলী এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে বড়ভাই আজিজুল হকের পুত্রবধুর বাবার বাড়ির লোকজন জড়িত থাকার দাবি করেন।
পরে সোমবার (১৫মে) ভোরে ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে মাহফুজার রহমান (৪০) জাবেদুল (৪০) এবং জহুরুল হককে সন্দেহ জনক আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লা হিল জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে এবং সন্দেহ জনক এজাহার ভূক্ত আসামী মাহফুজার রহমানকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।