নিজস্ব প্রতিবেদক :
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে স্মার্টফোন ব্যবহার করে নকল করা এবং নকলে সহযোগীতার অভিযোগে ২ এস এস সি পরীক্ষার্থী ও এক শিক্ষকসহ ৩ জনের নামে পাবলিক পরীক্ষা আইনে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। মামলায় ২ পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার ২ করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায় গত (৯ মে) মঙ্গলবার মুছা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় গণিত বিষয়ে পরীক্ষা চলাকালীন মুহূর্তে কেন্দ্রে স্মার্টফোন ব্যবহার করে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে কেন্দ্রের বাহিরে পাঠানো এবং উত্তর পত্র সংগ্রহ করে নকল করার সময় মো. ইউসুফ (১৭) নামে এক পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে কেন্দ্র সচিব।
পরে এ ঘটনায় ওই দিনই মুছা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষক আবু নাসের মো. আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে মোবাইল ফোনের প্রকৃত মালিক বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীর পাশের সিটের অপর পরীক্ষার্থী আশরাফুল (১৭) ও বাহির থেকে মেসেঞ্জারে শিক্ষার্থীকে প্রশ্নের উত্তর লিখে পাঠিয়ে সহায়তা করা শিক্ষক মো. বাছির মিয়া সহ বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থী ইউসুফ মিয়ার বিরুদ্ধে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা নং- ৯ দাখিল করেন। মামলায় পুলিশ পরীক্ষার্থী মো. ইউসুফ ও আশরাফুলকে আটক করেছে কুলিয়ারচর থানায় নিয়ে আসে । এ সংবাদ পেয়ে নকল দিয়ে সহায়তা করা শিক্ষক বাছির মিয়া এলাকা ছেড়ে পলিয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে ।
আটককৃত মো. ইউসুফ উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের ধুপাখালী গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র ও আশরাফুল একই গ্রামের মো. মিলন মিয়ার পুত্র। তারা দুইজনই ছয়সূতী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের ছাত্র। পলাতল শিক্ষক মো. বাছির মিয়া (২৮) বড়ছয়সূতী এলাকার জনতা আদর্শ উচ্চ বিদ্যায়লয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক। সে ধুপাখালী গ্রামের মো. মুর্শিদ মিয়ার ছেলে।
বুধবার (১০মে) দুপুর দুইটার দিকে আটককৃত দুই পরীক্ষার্থীকে পুলিশ প্রহরায় কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত ৯ মে মঙ্গলবার এসএসসি গনিত পরিক্ষা চলছিলো। এসময় কুলিয়ারচর উপজেলার ২নং কেন্দ্র মুসা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. ইউসুফ স্মার্টফোন দিয়ে প্রশ্নের ছবি তুলে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে বাহিরে থাকা জনতা আদর্শ উচ্চ বিদ্যায়লয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক মো. বাছির মিয়ার নিকট পাঠায় । শিক্ষক মো. বাছির মিয়া প্রশ্নপত্রের উত্তর লিখে পরীক্ষার্থী মো. ইউসুফের ম্যাসেঞ্জারে প্রেরণ করেন। এ সময় দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিমন সরকার পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনকালে ওই শিক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনসহ হাতেনাতে ধরে কেন্দ্র সচিবের নিকট হস্তান্তর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিমন সরকার সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় পরিক্ষার হলে স্মাটফোনসহ অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মো. ইউসুফ হাতানাতে ধরা পড়ে। পরে কেন্দ্র সচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়ে এ ঘটনায় জড়িত দুই পরীক্ষার্থীকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
কেন্দ্র সচিব ও মুসা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু নাসের মো. আব্দুল্লাহ বলেন, পরীক্ষা হলে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক হাতেনাতে স্মার্টফোনসহ ধরা পড়ায় পরীক্ষার্থী মো. ইউসুফকে বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনা সহয়তাকারী হিসেবে স্মাটফোনের প্রকৃত মালিক পরীক্ষার্থী আশরাফুল ও কেন্দ্রের বাহির থেকে সহায়তা করা শিক্ষক বাছির মিয়া এবং বহিস্কৃত পরিক্ষার্থী মো. ইউসুফের বিরুদ্ধে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, আটককৃত দুই পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা আইনে নিয়মিত মামলা হয়েছে। তাদেরকে ১০ মে বুধবার দুপুর ২ টার দিকে কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতের প্রেরণ করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক- খায়রুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক - সোহেল রানা
সম্পাদকীয় কার্যালয়- ৫২২ আইনুল্লাহ স্কুল রোড, স্বল্পমারিয়া, বএিশ, কিশোরগঞ্জ।
০১৯১২৫৫০৭২৭,০১৭২৪৫৭৪২১৭
Copyright © 2024 কালের নতুন সংবাদ. All rights reserved.