আবু হানিফ পাকুন্দিয়া প্রতিনিধি :পাকুন্দিয়ায় প্রখর তাপে অতিষ্ঠ মানুষ। ভ্যাপসা গরম কিছুতেই কমছে না। সে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে লোডশেডিং। শহরের তুলনায় গ্রামের অবস্থা বেশি খারাপ। শহরে দিনে তিন থেকে পাঁচবার লোডশেডিং হলেও গ্রামে বেশিরভাগ সময়ই থাকে বিদ্যুৎহীন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৯-২০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। জানা যায়, পাকুন্দিয়া উপজেলা ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। উপজেলায় লাখ লাখ লোকের বাস। বিদ্যুৎ অফিস কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে পাকুন্দিয়া উপজেলার সর্বত্রই চলছে লোডশেডিং। বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকরা জানান, তীব্র গরম যেমন পড়ছে, তেমনি হচ্ছে লোডশেডিং। প্রায় কয়েক মাস পূর্ব থেকেই এ সমস্যা বেশি হচ্ছে। বর্তমানে পবিত্র মাহে রমজান মাস। এ অবস্থা থাকলে তারাবি নামাজ আদায় করা খুবই কষ্টকর হচ্ছে। এরপর দিনের বেলায় কয়েকবার বিদ্যুৎ চলে গেলে ও আর আসে না। রাতের বেলায় যদি ও এমন হয় তা হলে কি করে এ তীব্র ভ্যাপসা গরমে কষ্টের সীমা থাকে না। অন্যদিকে গ্রামের অবস্থাতো আরও খারাপ। বিদ্যুৎ চলে গেলে আর ফিরে আসে না। মাঝে মধ্যে আসে আর চলে যায়। পাকুন্দিয়া পৌরসভা বরাটিয়া এলাকার বাবুল নাম ভুক্তভোগী বলেন, অসহনীয় ভ্যাপসা গরমের পাশাপাশি ভয়াবহ লোডশেডিং নামে অজুহাতে প্রতিদিনই ১৮ -২০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। এমাসে ৩০ তারিখ হতে এস,এস,সি পরীক্ষা লক্ষিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন দিনের বেলা গাছের ছায়া ও ঠান্ডা স্থানে বসে পড়তে পারি কিন্তু যখন মাগরিবের নামাজের সময় হয় তখন অন্ধকার নেমে আসে সাড়া রাতের মাঝে দুই এক বার আসে না তাহলে কিভাবে পড়তে পাড়ি এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির, শহিদুল আলম বলেন , রমজান মাস আসার পূর্ব থেকে বিভিন্ন এলাকায় লাইনের পাশে যে গাছপালা আছে, তা কাটা হয়েছিল তখনই লোডশেডিং ছিল। পাকুন্দিয়া উপজেলা টোটাল বরাদ্দ ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিন্তু দেয় ৭ মেগাওয়াট পাকুন্দিয়া পৌরসভা বরাদ্দ ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিন্তু মুলত সাভিস পায় সাড়ে তিন মেগাওয়াট । বতমানে এই অবস্থা কাটাতে একটু সময় নিবে বলে জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশক- খায়রুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক - সোহেল রানা
সম্পাদকীয় কার্যালয়- ৫২২ আইনুল্লাহ স্কুল রোড, স্বল্পমারিয়া, বএিশ, কিশোরগঞ্জ।
০১৯১২৫৫০৭২৭,০১৭২৪৫৭৪২১৭
Copyright © 2025 কালের নতুন সংবাদ. All rights reserved.