শাফায়েত নূরুল:
সাফল্যের আরেক নাম কিশোরগঞ্জের নিকলীর সদর ইউনিয়নের মীরহাটীর গ্রামের আব্দুল হাসেম। তিনি সাঁতারুরা বর্তমানে সারাদেশব্যপী যে গৌরব অর্জন করেছে যার হাত ধরে।
আব্দুল হাসেম ১৯৭৬ সালে জাতীয় বয়স ভিত্তিক সাঁতারে ব্রোঞ্জ পদক পাওয়ার পর থেকেই নিকলীতে অনেক সাঁতারু সৃষ্টি হয়েছে। মূলত উনার পদক প্রাপ্তিই নিকলীর সাঁতারুদের অনুপ্রাণিত করেছে এবং বর্তমানে দেশব্যাপী নিকলীর সাঁতারুদের সাফল্য।
আবদুল হাসেম ২০০৬ সালে বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন কতৃক সেরা কোচের পদক এবং ২০১৯ সালে সেরা সংগঠক হিসেবে মনোনীত হন। উনি ১৯৯৪ সালে ‘নিকলী সুইমিং ক্লাব’ নামে একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন তখন থেকেই জাতীয় পর্যায়ে এই ক্লাবের হয়ে বিভিন্ন সাঁতার প্রতিযোগিতায় নিকলীর নামে অংশগ্রহণ করে সাঁতারুরা।
বর্তমানে ‘নিকলী সুইমিং ক্লাবে’র প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যাও চোখে পড়ার মত।যারা নিয়মিত নিকলী উপজেলা পরিষদ চত্বরের পুকুরে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকে। কোচ আবদুল হাসেম নিজে উপস্থিত হয়ে প্রতিদিন সাঁতারুদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে আর এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েই সাঁতারুরা জাতীয় পর্যায়ে সাফল্য অর্জন করে।
নিকলীতে বর্তমানে দুইটি সুইমিং ক্লাব আছে,যারা নিকলীর সাঁতারে যতেষ্ট অবদান রাখছেন। এই ব্যাপারে নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শাকিলা পারভীন জানান, নিকলী উপজেলাতে সাঁতারুদের প্রশিক্ষণ জন্য তিনটি পুকুর রয়েছে এর মধ্যে দুইটি পুকুর প্রশিক্ষণ চলে বলে উল্লেখ করেন।