স্টাফ রিপোর্টার:তৌহিদুল ইসলাম সরকার:
ময়মনসিংহের-নান্দাইলের বোরো-ইরি ধানের বিস্তীর্ন মাঠ জুড়ে ঘন সবুজের সমারোহ। বসন্তের দখিনা হাওয়ায় দোল খাচ্ছে সবুজ চাদরে ঢাকা বোরো ধানের হলুদ শীষ। মাঠের দিকে তাকালেই যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। সবুজ সমুদ্রের ঢেউয়ে যেন মেতে উঠছে প্রকৃতি।। বোরো ধানের সবুজ ও হলুদ শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। কৃষকের স্বপ্ন সোনালী ধানে ভরে উঠবে কৃষাণীর শূন্য গোলা। এমনটাই দৃশ্য চোখে পড়ে নান্দাইল উপজেলার প্রত্যন্ত মাঠগুলোতে।
সরেজমিনে বোরো ধানের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ধান গাছের সবুজ পাতা ও সোনালী হলুদ শীষ তরতাজা রয়েছে। আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই ধান কাটা শুরু হবে।
যথাসময়ে সঠিক পরিচর্যা ও জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারনে বোরো ধানের ফলনের অবস্থা খুবই ভালো। যার ফলে বোরোর বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ। এখন শুরু হয়েছে ধানের সবুজ গাছ এবং কাঁচা শীষ হলুদ বর্ণ ধারণ। এরপর সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করা শুরু হবে মাঠের পর মাঠ।
জমিতে সবল-সতেজ চারা এবং শীষ বের হচ্ছে। তাই এবার ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি বোরো মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা।
মাঠে ফসলের স্বপ্ন দেখে কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের ছোঁয়া। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যদি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটে। তাহলে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, কৃষি অফিসের সহযোগিতাও পরামর্শে চাষাবাদকৃত বোরো ধান গতবারের চেয়ে এবার ভালো হয়েছে। যদি প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না আসে, তবে এবার ধানের বাম্পার ফলন হবে।
উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর কড়ইকান্দি গ্রামের কৃষক মীর কাশেম, মানিক মিয়া, তমিজ উদ্দিন, কলিম উদ্দিন বলেন, বোরো ধানের ফসল অনেক ভালো হয়েছে। যদি প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হয়, তাহলে সুন্দর ভাবেই ফসল ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ২২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মধ্য ব্রি-ধান২৮, ব্রি-ধান২৯, ব্রি-ধান৫৮, ব্রি-ধান ৮৮, ব্রি-ধান ৮৯, ব্রি-ধান ৯২, বঙ্গবন্ধু ধান ১০০, হাইব্রিড ছক্কা, হীরা ১, ঝলক, সৌরভী, ইত্যাদি বিভিন্ন জাতের ধান রোপন করা হয়েছে।
বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৯ হাজার ৯৬৪ মেট্রিক টন।
নান্দাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, এ বছর বোরো ফসলের মাঠ অনেক সুন্দর হয়েছে। এরে বড় ধানের বাম্পার ফলনও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছি। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। তাই ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ধান উৎপাদন ছাড়িয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।
সম্পাদক ও প্রকাশক- খায়রুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক - সোহেল রানা
সম্পাদকীয় কার্যালয়- ৫২২ আইনুল্লাহ স্কুল রোড, স্বল্পমারিয়া, বএিশ, কিশোরগঞ্জ।
০১৯১২৫৫০৭২৭,০১৭২৪৫৭৪২১৭
Copyright © 2024 কালের নতুন সংবাদ. All rights reserved.