নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে ভাটরা ইউনিয়নের দুই এলাকায় গৃহবধু ও এক কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টার তথ্য পাওয়া গেছে। পৃথক দুই ঘটনাটি টাকার বিনিময়ে দফারফা করার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ বলছে, মৌখিকভাবে ঘটনা দুটি জেনেছেন। তবে এসব ঘটনায় থানায় বা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কোনো অভিযোগ হয়নি। যেকারণে তারা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের রামকৃষ্টপুর চৌদিঘী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে কোচিংয়ে গিয়ে শ্রেণিকক্ষে ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ভাগবজর গ্রামের এক কিশোরকে মারধর করে স্থানীয়রা। চারদিন পর মঙ্গলবার ওই কিশোর ফের স্কুল চত্বরে গেলে স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে মারামারির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ওই কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টার কথা রটিয়ে কিশোরকে মারধর করা হয়। জনৈক জনপ্রতিনিধি এবং প্রধান শিক্ষক বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়াতে দেননি। পবিত্র মাহে রমজানে স্কুল বন্ধ থাকলেও রামকৃষ্টপুর চৌদিঘী বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে কয়েকজন শিক্ষকদের দিয়ে নিয়মিত কোচিং করানো হয়।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক আকরামুজ্জামান তারা বলেন, মারামারির বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাইনা। আপনি সাংবাদিক তাতে কি! আমাকে প্রশ্ন করবেন কেন, বলেই মোবাইল কল কেটে দেন।
অন্যদিকে গত ৩০ মার্চ রাতে ভাটরা ইউনিয়নের মনিনাগ গ্রামে মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় প্রাচীর টপকে গৃহবধুর ঘরে ঢুকে গলায় চাকু ঠেকিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। অভিযুক্ত বাবু মিয়া মনিনাগ গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে এবং ভাটরা ইউপি চেয়ারম্যানের আত্মীয়।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পরদিন শুক্রবার মনিনাগ গ্রামের কয়েকজন মাতব্বররা টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি দফারফা করেছে। ঘটনার দিন কন্যার বাড়িতে বেড়াতে যায় গৃহবধুর স্বামী, রাতে সুযোগ বুঝে গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে প্রতিবেশী বাবু মিয়া। ওই নারী চিৎকার করলে অভিযুক্ত ব্যক্তি ঘরে চাকু ফেলে জানালা ভেঙে পালিয়ে যায়। বাবু মিয়া নিয়মিত মাদকের আসর বসান বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।
ভাটরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোরশেদুল বারী বলেন, বাবু মিয়া তার আত্মীয়। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়ে মদ খেয়েছিলো, পরে ভুল করে ওই বাড়িতে ঢুকে যায়। উভয়ের ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।
এ প্রসঙ্গে কুমিড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনা দুটি মৌখিকভাবে শুনেছি। কেউ অভিযোগ না করায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।