ডেস্করিপোর্ট ঃ কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, মূল আসামীসহ গ্রেফতার ০২ জন।
তাড়াইল থানার চর তালজাঙ্গা সাকিনের মজনু মিয়ার সাথে জায়গা-জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই সাকিনের ভিকটিম সোহরাব উদ্দিনের শত্রুতা চলে আসতেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ইং ০২-০৪-২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় মজনু মিয়া ভিকটিম সোহরাব উদ্দিনের বাড়ির সামনে কাঁচা রাস্তার উপর এসে সোহরাবকে নাম ধরে ডাকাডাকি ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে সোহরাব বাড়ি থেকে বের হয়ে মজনু মিয়াকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে মজনু ক্ষিপ্ত হয়ে সোহরাবের শার্টের কলার ধরে টান দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মজনু ও তার সহযোগীরা সোহরাবকে এলোপাথারিভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। একপর্যায়ে ভিকটিম সোহরাব অজ্ঞান হয়ে পড়লে মজনু ও তার সহযোগীরা কৌশলে পালিয়ে যায়। আশেপাশের লোকজন এসে ভিকটিম সোহরাবকে চিকিৎসার জন্য অটো-রিক্সা যোগে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহরাবকে মৃত ঘোষণা করেন। ভিকটিম সোহরাবের মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে এসে তাড়াইল থানায় অবহিত করলে পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ রাসেল শেখ, পিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জনাব আল-আমিন হোসাইন, সহকারী পুলিশ সুপার (করিমগঞ্জ সার্কেল) একেএম শাহীন মন্ডল, অফিসার ইনচার্জ তাড়াইল থানা, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: মোখলেছুর রহমানসহ তাড়াইল থানার আরো পুলিশ সদস্যগণ উক্ত স্থানে উপস্থিত হয়ে ভিকটিমের মৃতদেহের সুরতহাল শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এই ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে মোঃ মনিরুজ্জামান রুবেল বাদী হয়ে চার জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামি করে তাড়াইল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মোখলেছুর রহমান অদ্য সকাল ৭.৩০ ঘটিকার সময় এজাহারনামীয় আসামী ১। মজনু মিয়া (৫০)কে করিমগঞ্জ থানাধীন গুজাদিয়া এলাকা হতে এবং এজাহারনামীয় আসামী ২। রোমান মিয়া (২১)কে কিশোরগঞ্জ মডেল থানাধীন নীলগঞ্জ বাজার এলাকা হতে গ্রেফতার করেন। এজাহারনামীয় আসামীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সততা স্বীকার করে।