সোহেল রানা রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরো ঃ
বাগমারা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার দিন দিন পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় এলাকায় পানি সংকট দেখা দিয়েছে। পানি সংগ্রহের উপযুক্ত মাধ্যম হচ্ছে নদী। ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপির প্রচেষ্টায় নদীকে বেগবান করতে বাগমারা উপজেলার দুইটি নদী পুনঃ খননের আওয়াতায় নিয়ে এসেছেন। ৬৪ জেলা অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী খাল এবং জলাশয় পুনঃখনন (১ম পর্যায়) ২য় সংশোধিত শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে বাগমারায় ফকিরনী নদীর সাড়ে ১৬ কিলোমিটার ও বারনই নদীর ১৪ কিলোমিটার পুনঃখনন করা হচ্ছে।
বর্তমানে নদীর গতি বন্ধ হওয়ায় দেশে বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে। নদীর পানি আগের মতো সমুদ্রে প্রবেশ করতে পারছেনা। নদীতে তার যৌবন ফিরে দিতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। নদী দূষণ রোধ করতে হবে। নদীর পানি ব্যবহার উপযোগী করতে হবে। দেশের নদীগুলো পুরাতন হওয়ায় অনেক নদী ভরাট হয়ে গেছে। সেই সাথে নদীর অনেক অংশ বেদখল অবস্থায় রয়েছে। অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে পুনঃখনন কাজ শুরু হয়েছে। সেই পানির সঠিক ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করতে হবে। নদীতে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। নদী প্রতিটি দেশের জন্য আশির্বাদ স্বরুপ। এস্কিবেটর মেশিনের সাহায্যে নদীর মাটি কেটে গভীর করা হচ্ছে। এর ফলে নদীতে যেমন পানি সংরক্ষণ করা যাবে আবার বন্যার হাত থেকেও রক্ষ পাওয়া যাবে। সেই সাথে নদীতে পানি চলাচলে কোন প্রতিবন্ধকতা না থাকায় দ্রুত সময়ে পানি নিষ্কাশন হবে।
রবিবার দুপুর ১২ টায় ভবানীগঞ্জ স্লুইসগেট এলাকায় নদী পুনঃখনন কাজ পরিদর্শন করেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ,এফ,এম, আবু সুফিয়ান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, পৌর কাউন্সিল হাচেন আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুল, সহ-সভাপতি মতিউর রহমান টুকু, দপ্তর সম্পাদক নূরুল ইসলাম সহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ। ভালো মতো নদী পুনঃখনন কাজ এগিয়ে যাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এমপি এনামুল হক।
উল্লেখ গত নভেম্বর মাসে সূর্য্যপাড়ায় ফকিরনী নদীর তীরের বেইলী ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে এক অনুষ্ঠানে নদী পুনঃখনন কাজের ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে নদী পুনঃখনন কানের উদ্বোধন করেছিলেন এমসপি এনামুল হক। ফকিরনী নদীর বাগমারা থানার মোড় হতে হুলিখালী ব্রিজ এবং বারানই নদীর তাহেরপুর থেকে মোহনগঞ্জ সেতু পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার নদীর পুনঃখনন করা হবে। এতে ব্যয় নির্ধারন করা হয়েছে ২০ কোটি টাকা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে এই খনন কাজ করা হচ্ছে