তাসলিমা আক্তার মিতু
“সংকটে সংগ্রামে ছড়া হোক বাধাহীন মুক্তধারা” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে তিন দিন ব্যাপী ১৯তম কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব ও চন্দ্রাবতী মেলা-২০২৩ শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ২মার্চ সকাল ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এই উৎসবের আয়োজন করে কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদ।
এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে একই জায়গায় এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় যোগদান করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।এ সময় গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহি লাঠি খেলা ও নানান রঙের সাজে, নেচে, গেয়ে র্যালীতে অংশ নেন উৎসবে যোগ দিতে আসা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও ভারতের ছড়াকার-কবি ও সাহিত্যিক, ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এবং স্কুলের শিক্ষার্থীরা ।
পরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে তিন দিনব্যাপী উৎসবের উদ্বোধন করেন ছড়া উৎসব পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক আহমেদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম।
এই ছড়া উৎসব প্রতিবছর মার্চের প্রথম সপ্তাহে ৩দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়।দেশ এবং দেশের বাইরের থেকে আমন্ত্রিত ছড়াকার,কবি, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক গুনীজনের আগমনকে কেন্দ্র করে ১৯তম এ ছড়া উৎসব ও চন্দ্রাবতী মেলা বাংলাদেশ ও ভারতের কবি-সাহিত্যিক ও লেখকদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।সাহিত্য সংস্কৃতি সংগঠন জেগে উঠো নরসুন্দার সহযোগিতায় তিন দিনের অনুষ্ঠানমালায় আলোচনা সভা, স্থানীয় ছড়াকার ও কবিদের প্রকাশিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, আমন্ত্রিত ছড়াকার, কবি ও সাহিত্যিকদের স্বরচিত লেখা পাঠ, বাউল গানের আসর, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক,সম্মাননা প্রদান,বিজয়ী প্রতিযোগীদের পুরষ্কার প্রদান ছাড়াও নানা আয়োজন থাকছে।
ছড়া উৎসবের আহবায়ক আহমেদ উল্লাহ বলেন,বিগত ১৮ বছরের ন্যায় এবছরও ছড়া উৎসবের আয়োজন করেছি। ছড়া ও সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা আছে বলেই আজকের প্রজন্ম ছড়াকে উপজীব্য করে কিশোরগঞ্জ জেলায় প্রতিবছর আমরা বর্ণাঢ্য ছড়া উৎসবের আয়োজন করে আসছি।নতুন প্রজন্মের জন্য এই আয়োজন মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে আশা করি।লেখকদের মাধ্যমে আগামী দিন একটি সুন্দর সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যেই এই ছড়া উৎসবের আয়োজন।