তাড়াইল ( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার বেলংকা এলাকায় শিক্ষকের উপর কয়েক দফায় হামলা চালিয়েছে চিহ্নিত জমি দখলকারী ও জাল দলিলের হোতা বাবুল গংরা।
বিভিন্ন মামলা সুএে ও আহত শিক্ষকের দাবি, বেলংকা এলাকার মৃত শামসুদ্দিনের পুএ বাবুল,সিরাজুল, রাজন,কাশেম, হাচমতের পুএ এমদাদুলসহ একই এলাকার ফরিদ, দিদারুল গংরা গত ১৪ ফেবুয়ারী সকালে বেলংকা এলাকার মৃত মফিজের পুএ মমতাজের উপর আক্রমণ করে আহত করে নগদ ৫৫ হাজার টাকাও নিয়ে যায়। এলাকাবাসী আহত মমতাজকে উদ্ধার করে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় তাড়াইল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে যাহার নং- ১১(১৭-২-২০২৩)।
চিকিৎসা চলমান অবস্থা ১৯ ফেবুয়ারী মমতাজের সরিষা খেতের সরিষা তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা জানতে পেরে মমতাজ তাড়াইল থানার এএসআই রফিকুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে জমিতে গিয়ে বাবুল গংদের তাদের সরিষা তুলে নিয়ে যেতে দেখতে পান পুলিশ অফিসার তাদের সাথে থানায় আসতে বললে রাস্তায় এসে কৌশলে সটকে পড়ে আসামিরা। এবং ২১ ফেবুয়ারী পুনরায় বাবুল গংরা সাথে আরও অজ্ঞাত কয়েকজনকে নিয়ে মমতাজের উপর পুনরায় আক্রমণ করে মারাত্মক আহত করে। মমতাজকে কয়েকজন উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাড়াইল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসারত মমতাজ বলেন, আমি চরম নিরাপত্তা হীনতা ভোগতেছি তারা আমাকে হাসপাতাল থেকে চলে যেতে হুমকি দিচ্ছে। বাড়িতে গেলে ওরা আমাকে এমনকি আমার পরিবারের লোকজনকে মেরে ফেলবে আমি খুবই হতাশা আছি আইনের প্রতি আমি স্রদ্ধাশীল হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে সিআর মামলান নং ৪৪৯/২১,৬৬/২৩,১২৭(১)১/২১, ও তাড়াইল থানায় জিডি নং-২০২(৫/১২/২২) দায়ের করেও রক্ষা পাচ্ছি না। এলাকাবাসীর সাথে কথা হলে তারা জানান, বাবুল গংরা এলাকায় সবসময় হামলা মামলা ও জাল দলিলের মাধ্যমে হিন্দু সম্পদ বিক্রি করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে এর আগেও তারা ২০০৫ সালে ২৭ জুন মৃত কালিপদ বিশ্বাসকে জীবিত দেখিয়ে জমি দলিল করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ফলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় ২৪ জুলাই ২০০৫ সালে।
বিষয়টি নিয়ে তাড়াইল থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে বর্তমানে মমতাজ চিকিৎসাধীন রয়েছে ফলে আরেকটি মামলা প্রস্তুতি চলছে।