সোহেল হোসেন লক্ষীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলাতে
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক কিশোর নিহত হয়েছে। এসময় অন্তত ১০ জন আহত হয়।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরকাছিয়া গ্রামে মিয়ারহাট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সালেহ মো. মিন্টু ফরায়েজী সংঘর্ষে একজন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের নাম রাসেল হোসেন। তার বয়স ১৪ বছর। রাসেল চরকাছিয়া গ্রামের মনির হোসেন ভূট্টুর ছেলে। আহত রুহুল আমিন একই এলাকার আলী সর্দারের ছেলে। তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু জানান, দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিএম শাহজালাল রাহুল ও ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য নজরুল ইসলামের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয়রা জানান, মেঘনা নদীতে জেগে ওঠা চরের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই ওই দুই আওয়ামী লীগ নেতার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। সে বিরোধেই বুধবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সেখানেই ছুরিকাঘাতে মারা যায় ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের ভাতিজা রাসেল।
নিহত রাসেলের ফুফু রুনিয়া বেগম বলেন, ‘রাহুলরা আমাদের জমি দখল করে রেখেছে। মার্চ-এপ্রিল নদীতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সে সময় মৎস্য বিভাগ সেখানে ক্যাম্প করতে চেয়েছিল। রাহুল এ ক্যাম্পের বিপক্ষে ছিল। আমার ভাই মনির পক্ষে থাকায় রাহুলের লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে রাসেলকে খুন করেছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।’
এই ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা শাহজালাল রাহুল ও ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলে তারা রিসিভ করেননি। তবে তাদের সমর্থকরা একে-অপরকে দোষারোপ করে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জেলা সদর হাসপাতালে ও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমানকে পাঠানো হয়েছে।’
এসআই মুজিবুর রহমান
মরদেহ মর্গে রাখার কথা জানিয়েছেন