গোলাম কিবরিয়া পলাশ
ময়মনসিংহে জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে সামনে ঘন্টা ব্যপী মানববন্ধন করে জামিয়া ফয়জুর রহমান রহঃ এর মাদরাসার সকল স্টাফ, বড় মসজিদের মুসল্লীবৃন্দ, মাদরাসার শিক্ষার্থীবৃন্দ ও ধর্মপ্রাণ এলাকাবাসী। ১৬ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে প্রতিনিধিবৃন্দ জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এ সময় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাফিজার রহমান সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে বলেন তদন্ত রিপোর্ট গুলি ও আপনাদের দাবী গুলি সঠিক ভাবে পর্যালোচনা করে দ্রুত আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধানের আশ্বাস প্রকাশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামিয়া লোকমানিয়া (মহিলা মাদরাসা) এর প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল আলহাজ্ব মাওলানা গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহ কওমী মহিলা মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব ও জামিয়া নূর হোসেন (দাওরায়ে হাদিস মহিলা মাদরাসা) এর প্রিন্সিপাল মুফতী নূরে আলম সিদ্দিকীসহ ২০০৫, ২০০৬ ও ২০০৭ সালের ফারেগীন শিক্ষার্থীদের মধ্য হতে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষার্থীবৃন্দ।
জানা গেছে, চক বাজার জামে মসজিদ ওয়াকফ এস্টেট (ইসি নং ৪৮০) প্রকাশ ময়মনসিংহ বড় মসজিদ, ময়মনসিংহ-এর কার্যকরী পরিষদের সভাপতি/মুতাওয়াল্লী ফকির মো: আঙ্গুল জলিল এর দায়িত্ব গ্রহণের অল্প দিনের মধ্যেই তার অসদাচরণ, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, স্বেচ্ছাচারীতা: ফান্ডে টাকা থাকা সত্ত্বেও ক্রয়কৃত ভবনের মূল্য পরিশোধে গড়িমসির কারণে ব্যাংক সুদের পরিমাণ বৃদ্ধি, অকারণে কয়েক মাস যাবত শিক্ষক-স্টাফের বেতন-ভাতা বন্ধ, সহস্রাধিক ছাত্র-শিক্ষক-স্টাফের খাবার ও দৈনন্দিন ২৫৮ এবং গ্যাস-বিদ্যুৎ বিল অটকে দেয়াসহ বিভিন্নভাবে বিশৃংখল সৃষ্টি করেন। আর এসব কারণে প্রতিষ্ঠানদ্বয় পরিচালনা বাধাগ্রস্ত ও অস্তিত্ব হুমকির সৃষ্টি হয়।
এ সকল বিষয় সমাধানের জন্য ইতিপূর্বে ওয়াকফ প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হলে ওয়াকফ প্রশাসন কর্তৃক তদন্ত করে রিপোর্ট তৈরী করা হয়। স্থানীয় প্রশাসনের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়। কিন্তু তিনি কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা না করে তার একান্ত অনুগত কতিপয় সদস্যের মদতে একগুয়েমি ও স্বেচ্ছাচারীতা ঢলিয়ে যাওয়ার কারণে ১৪/১১/২০২২ খ্রিঃ তারিখ জেলা প্রশাসক বরাবর সভাপতি/মুভাল্লী ও কতিপয় সদস্য পরিবর্তনে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এর প্রেক্ষিতে গত ৩০/১১/২০২২ খ্রি. তারিখ জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ফকির আ জলিল এর কমিটির সকল কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয় এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে ১৫ (পনেরো) কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করার লিখিত সিদ্ধান্ত দেয়া হয়।
কিন্তু আজো পর্যন্ত কোন সুষ্ঠু সমাধান না হওয়ায় মসজিদ মাদরাসা বর্তমানে বহুবিধ কঠিন সমস্যার সম্মুখীন। বিশেষত: ব্যাংকের এক উটসমূহ কমিটি কর্তৃক পরিচালিত হওয়ার কারণে বর্তমানে একাউন্টগুলো আটকে আছে যার ফলে নিম্ন বর্ণিত সমস্যাগুলো প্রকট আকার ধারণ করেছে।
প্রায় দেড় কোটি টাকা বায়না দিয়ে ক্রয়কৃত ভবনের বাকি টাকা [যার ধার্যকৃত মোট মূল্য ২,৭৫,০০,০০০/-(দুই কোটি পঁচাত্তর লক্ষ)টাকা না দেওয়ায় ভবনটি নিলামের জন্য ব্যংক থেকে বারবার নোটিশ আসছে।
কয়েক মাস যাবত মসজিদ ও মাদরাসার সকল স্টাফ বেতন না পেয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। এবং গ. গোরাবা ফান্ডের টাকা আটকে রাখার কারণে গোরাবা থেকে সুবিধাভোগী তিন শতাধিক এতিম-অসহায় ছাত্র খরচের
কষ্টে আছে।
তাই, মসজিদ-মাদরাসা ধ্বংসের নীল-নকশাকর, গেঁয়ার সভাপতি ফকির আ: জলিল ও তার একান্ত সহযোগী কতিপয় সদস্যকে অনতি বিলম্বে অপসারণ করে সংশোধিত প্রস্তাবিত কমিটি নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেন ময়মনসিংহ বড় মসজিদ ও মাদরাসার সকল স্টাফ, মুসল্লীবৃন্দ ও ধর্মপ্রাণ এলাকাবাসী।