তাড়াইল সংবাদদাতাঃ তাড়াইল-সাচাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন সংস্কার ও আসবাবপত্র সরবরাহের বিপরীতে ২০২১/২২ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত ১লাখ ৪৬ হাজার ৫ শত টাকার কাজ না করেই পুরো অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য জাহানারার নামে।
জানা গেছে, ৭ নং তাড়াইল- সাচাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন সংস্কার ও আসবাবপত্র সরবরাহের জন্য ২০২১/২২ অর্থ বছরের গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষন( টি আর) প্রকল্পের ১ লাখ ৪৬ হাজার ৫ শত টাকা বরাদ্দ পায় ইউনিয়ন পরিষদ।তবে কাজ না করেই পুরো অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ এনে প্রকল্প সভাপতি ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোছা. জাহানারার নামে গত ১৪ ই ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক ও উপ পরিচালক( উপসচিব) স্থানীয় সরকার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেছেন একই ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য আমিনুল হক আকন্দ।
১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য টিআর প্রকল্পের সভাপতি মোছা.জাহানারা জানান, চেয়ারম্যান সাঈম দাদ খান নওশাদ আমার কাছ থেকে মাস্টার রোলে স্বাক্ষর নিয়েছেন উনি কাজ করছেন কি না তা তিনিই বলতে পারবেন।আপনি তাঁর সাথে যোগাযোগ করেন।
অভিযোগকারী ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য আমিনুল হক আকন্দ বলেন, ৭নং তাড়াইল সাচাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন সংস্কার ও আসবাবপত্র ক্রয়ের জন্য গত ২০২১/২২
অর্থ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষন( টি আর)এর ১ লা ৪৬ হাজার ৫ শত টাকা বরাদ্দ পায়।ওই প্রকল্পের সভাপতি মহিলা সদস্য জাহানারা ও সাধারণ সম্পাদক আমি নিজে।তবে মাষ্টার রোলে আমার স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি।প্রকল্পের কাজ না করেই পুরো টাকা আত্মসাৎ করেছে সভাপতি জাহানারা।
পরিষদে যা কাজ হয়েছে তা সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জান মহাজন করে গিয়েছেন।নবাগত চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে কোনো কাজ করেননি আমার জানা মতে।তিনি আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আমার আকুল আবেদন তদন্তপূর্ব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
৭নং তাড়াইল সাচাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈম দাদ খান নওশাদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,
২০২১/২২ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত টি আর প্রকল্পের অর্থ দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সংস্কারের পাশাপাশি আসবাবপত্র ক্রয় করা হয়েছে।কোনো অর্থ আত্মসাৎ করা হয়নি।