স্টাফ রিপোর্টার ঃ “সংকটে সংগ্রামে ছড়া, হোক বাধাহীন মুক্তধারা” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আগামী মার্চ মাসের ২,৩ ও ৪ তারিখে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৩দিনব্যাপী ১৯তম কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসব ও চন্দ্রাবতী মেলাকে ঘিরে গতকাল ১১ ফেব্রুয়ারি-২৩ শনিবার দিন ব্যাপী দৈনিক শতাব্দীর কন্ঠ পত্রিকা কার্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার বিষয় ছড়া ও কবিতা আবৃত্তি, ছড়া লিখন, চিত্রাংকন, সুন্দর বাচনভঙ্গি ও শুদ্ধ উচ্চারণ। এই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগি,অভিভাবক, কবি, ছড়াকার ও সাহিত্যিকদের পদচারণায় মুখরিত ছিল প্রতিযোগিতা প্রাঙ্গণ। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আসা অভিভাবক কানিজ ফাতেমা বলেন, আমার দুইমেয়ে প্রাইমারি স্কুল থেকেই অংশ গ্রহণ করে আসছে। বর্তমানে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। আমার মেয়েরা প্রতিবছর এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতে পেরে আনন্দিত হওয়ার পাশাপাশি মেধা বিকাশের সুযোগ পেয়েছে। আমরা চাই এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক।
অন্যদিকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারি শিশু চিত্রশিল্পী আদনান সামির পিতা শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিযোগিতায় পুরষ্কার পাওয়া বড় কথা নয়। আমার ছেলে অংশগ্রহণ করেছে এটাই অনেক বড়। তাছাড়া প্রতিবছর তিনদিন ব্যাপী ছড়া উৎসব অনুষ্ঠানে রফিকুল হক দাদু ভাই ও শিশু একাডেমীর মহা পরিচালক অনজীর লিটনের মতো অনেক জ্ঞানী-গুনীর জ্ঞানগর্ব আলোচনা ও তাদের সানিধ্যে আসতে পেরে আমাদের বাচ্চারা অনুপ্রাণিত হয়। আমি ছড়া উৎসব ও আয়োজক কমিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এছাড়াও উপস্থিত অভিভাবকরাও অনুষ্ঠানের সফলতা কামনা করেন।
জেগে ওঠো নরসুন্দা সাহিত্য সংগঠনের সদস্য কবি ও ছড়াকার আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আজকের প্রতিযোগিতায় বিপুল সংখ্যক প্রতিযোগিদের অংশগ্রহণ দেখে আমরা আনন্দিত ও উৎসাহবোধ করছি। এ বছর ভারত, নেপাল, ভুটান, রাশিয়া ও নাইজেরিয়া থেকে অর্ধশতাধিক কবি, ছড়াকার ও সাহিত্যিক অংশগ্রহণ করার জন্য আমাদের আমন্ত্রনপত্র গ্রহণ করেছেন এবং সম্মতিজ্ঞাপন করেছেন। এবারের ১৯তম ছড়া উৎসব আর্ন্তজাতিক ভাবে রূপনেবে বলে আশা করছি। সরকারি-বেসরকারি ও সুশীল সমাজের সহযোগিতা পেলে আগামীতে এর ব্যাপ্তি বিশ্বব্যাপী কিশোরগঞ্জের সাহিত্য সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দিতে সহজ হবে।
ছড়া উৎসব ও আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম বলেন, আমরা প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ১৯তম ছড়া উৎসব করছি। আগামী ২,৩ ও ৪ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য কিশোরগঞ্জ ১৯তম ছড়া উৎসব ও চন্দ্রাবতী মেলা সফল করতে প্রস্তুুতিমুলক স্কুল কলেজ এবং সর্ব সাধারণের সম্পৃক্ততার জন্য আমরা পূর্বেই বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকি। এর ধারাবাহিকতায় এবারও বিপুল সংখ্যক প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করায় আমরা আনন্দিত। আশাকরছি অনুষ্ঠানটি সফল করতে সকলের সহযোগিতা পাবো।
জেগে ওঠো নরসুন্দা সাহিত্য সংস্কৃতি সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও ১৯তম কিশোরগঞ্জ ছড়া উৎসবের আহবায়ক আহমেদ উল্লাহ বলেন, ১৯ বছর যাবত ছড়া উৎসব ঘিরে কিশোরগঞ্জের শিশু কিশোর, যুবক-যুবারা তাদের চিত্রাংকন ও লিখনির মাধ্যমে মেধা বিকাশ ঘটিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আস্তে আস্তে অবস্থান করে নিচ্ছে। এই উৎসব কিশোরগঞ্জের গর্ব।
প্রতিযোগিতার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন প্রতিযোগিতা উপকমিটির আহবায়ক রুমা অঞ্জলী, সদস্য সচিব শরফ উদ্দিন হুসাইন জীবন ও সদস্য তাহমিনা নিপা ও বিলকিছ আক্তার আখি। সহযোগিতায় ছিলেন দীপক দাস, মোঃ আবুল কাশেম, শামসুল আলম শাহীন, মোহাম্মদ নূর আলম গন্ধী, গাজী মাজহারুল ইসলাম আশিক প্রমুখ। বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কাশেম, ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহজাহান, কবি ও সমালোচক প্রভাষক শাহজাহান শাজু, কবি বাবুল রেজা, ছাড়াকার মো. শাহজাহান কবীর, শংকর দেব দত্ত, রাজিব সেন, তাহমিনা নিপা, আসাদুজ্জামান আসাদ ও গোলাপ আমীন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেগে ওঠো নরসুন্দা সাহিত্য সংস্কৃতি সংগঠনের উপদেষ্টা র্শিক্ষাবিদ আবু খালেদ পাঠান, সদস্য মোঃ শফিকুল আলম গোলাপ, চামেলী দাস, নাট্যকার আব্দুল ওয়াহাব, এম এ সবুজ, রাশেদ মনির, আলমগীর অলিক, আফরোজা আক্তার আফ্রি মন্ডল, মোঃ আতাউর রহমান, অখিল চন্দ্র সরকার, মোঃ আব্দুল আওয়াল, মোঃ সাইফুল রাজু, আছমা আক্তার লাভলী, মোঃ আবু তাহের, মুশফিকুর রহমান, শিল্পী আতাউর রহমান, মলং আলীমুর রাজী (রাজীব), সুবর্ণা দেবনাথ,উজ্জল, অজানা সুবন, রফিকুল ইসলাম, সানজিদ আরা বৃষ্টি, মোঃ আবু হানিফসহ অভিভাবকবৃন্দ ।