নিজস্ব প্রতিবেদক
কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার জাওয়ার পীর সাহেব বাড়ী অত্র উপজেলার সকলের পরিচিত এবং হিন্দু মুসলিম সহ সকল
ধর্মের বর্ণের মানুষের হৃদয়ে ভিন্ন রকম ভালোবাসার স্থান দখল করে আছে । এ বাড়ির লোকজন তাদের মাঝে অন্যরকম এবং
সকলের আস্থার স্থান হিসেবে আধ্যাতিক শাহ্ সূফী সৈয়দ আনিছুর (রহঃ) । যাকে সবাই পাগলা হুজুর নামেই ডাকতেন ।
১৯৪৫ সালে জাওয়ার পীর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন । তার বাবার নাম শাহ্ সৈয়দ আতাউর রহমান (রহঃ) এবং মা সৈয়দা ফাতেমা
বেগম । পারিবাকিভাবে তিনি ষাট দশকে দ্বীনি শিক্ষার জন্য ভারতে তার মামার সাথে অবস্থান করেন । আওলাদে রাসূল ফানা ফিল্লাহ মজনুমে অলী হযরত শাহ্ সুফী সৈয়দ আনিছুর
(রহঃ) শৈশব থেকে হুজুরে আধ্যাতিক জগতে বিচরন এক অসাধারণ তাৎপর্য বহন করে । সৃষ্টিকর্তার সান্যিধ্য লাভ করতে
এবং মানব কল্যাণে সর্বদায় ধ্যানে মশগুণ থাকতেন । ধীরে ধীরে হুজুরের আধ্যাতিক বিষয়গুলো বিকশিত হয়ে এলাকাবাসীসহ
ভক্তবৃন্দের মাঝে প্রসারিত হতে শুরু করে । ৩৫ বছর নিজেকে গোপনে রাখলেও একসময় তা প্রকাশিত হয়ে পরে। তিনি অনেক বড় মাপের আধ্যাতিক শক্তি সম্পন্ন ওলী । তিনি
নিজেকে সম্পূর্ণ রুপে বিলীন করে দেন ভক্তবৃন্দের মাঝে।
এভাবেই ভক্তবৃন্দের মাঝে তিনি অতি আপন হয়ে উঠে । কঠোর সাধনার মাধ্যমেই । দৈহিক, জৈবিক ও প্রাকৃতিক প্রলোভন বলয় থেকে আত্মার মুক্তি সাধন লাভ ও রুহানী পিপাসার গভীর
জ্ঞান লাভ করেছিলেন তিনি । ৭০ বছর বয়সে ৩০ অক্টোবর ২০১৪ ইং তারিখে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি পরলোক গমন করেন ।
উনার বিদায়ের পর থেকে হযরতের মাজারের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন সহ উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ভক্তদের মাঝে কেব মুসলিম ভক্তই নয় হিন্দু সম্প্রদায় সহ বিভিন্ন ধর্মের ভক্তবৃন্দ
খেদমতে রয়েছে । তাদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে বিশেষভাবে কাজ করে চলছেন আলহাজ্ব আব্দুস সালাম খান (সদ্দু) মিয়া এবং শ্রী চন্দন ভৌমিক , প্রদীপ কুমার পাল, কাজলসহ অনেকেই । তাদের চেষ্টার ফলে মাজারের নতুন ভবন তৈরি এবং
প্রতি বৃহঃ মিলাদ মাহফিল । প্রতি চাঁদের ১১ তারিখে বিশেষ মিলাদ মাহফিলসহ হুজুরের পরলোক গমনের তারিখ ৩০ অক্টোবর
কেন্দ্র করে ২ দিন ব্যাপি উরশ শরিফ পালন করে থাকেন তারা ।