মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি।
হযরত আলী(রাঃ) এর পবিত্র জন্মবার্ষিকী উদযাপন-২০২৩
উপলক্ষে মওলা আলীর শানে মিলাদ,আলোচনা এবং মানকাবাত পরিবেশনের আয়োজন করা হয়। সদরঘাট ইমামবাড়ি হোসাইনিয়া ট্রাষ্টের আয়োজনে নানা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্য দিয়ে অনিষ্ঠিত হয়।
আজ ১৩ রজব,৪ফেব্রুয়ারি,শনিবার,রাত ৮টায়,(হিজরী ১৪৪৪ হিঃ,২০২৩ইং) চট্টগ্রাম নগরীর,সদরঘাট,ইমামবাড়িতে জন্মদিবস উপলক্ষে মওলা আলীর শানে নানা আনুষ্ঠানিকতায় পবিত্র জন্মদিন পালিত হয়েছে।
আজকের এদিনে তিনি পবিত্র কাবা শরীফের ভেতরে জন্মলাভ করেন। মাওলা আলীর মহীয়সী মাতা ফাতিমা বিনতে আসাদ কাবার প্রদক্ষিণকালে প্রসব ব্যথার অনুভব করেন। এমতাবস্থায় কাবার ইয়েমেনি কোণ আল্লাহ পাকের অনুগ্রহে অলৌকিকভাবে খুলে যায় এবং হজরত আলীর মাতা সেই ফাটল দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে নবী মুহাম্মদের প্রিয় হযরত আলীকে প্রসব করেন। জন্মের পর তিনি চোখ খুলছিলেন না যতক্ষণ না প্রিয় নবী তাকে কোলে নেন।প্রিয় নবী উনার কানে আজান দেন।সহীহ হাদিস অনুসারে হযরত আলীই প্রথম মুসলমান।
কোরআন তেলআতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।তানভীর
হোসেনের সঞ্চালনায়,এতে বক্তব্য রাখেন,হুজ্জাতুল ইসলাম মওলানা আমজাদ হোসাইন,মওলানা মুনাওয়ার হোসেন ও মওলানা আলী রেজা খান। মওলানা আমজাদ হোসাইন বলেন,জন্মলগ্ন থেকে অন্তিমকাল তক হজরত আলী আল্লাহর নবী ও আল্লাহ মনোনীত ধর্ম ইসলামের খেদমতের ক্ষেত্রে সমস্ত দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন,ঈমানের সঞ্জীবনী হিসেবে যুব সমাজকে তা ধারণ করতে হবে। নানা বিষয়ে হযরত আলীর জন্মদিনের সাথে নবী (সঃ) তাৎপর্য,জীবনী সম্পর্কে ইতিহাস সারসংক্ষেপ আলোচনা করেন।
বক্তারা বলেন, মাওলা আলীর (রাঃ) গুরুত্বে শানমান আমাদের ধর্মকর্ম ব্যক্তি জীবনে গুরুত্ব তাৎপর্য প্রয়োজনীয়তা বলে শেষ করা যাবেনা। মাওলা আলীর জন্মদিবস ও তার প্রতি যথাযথ সম্মাননা শিষ্টাচার প্রদর্শন এখন সময়ের অন্যতম দাবী।আজ পবিত্র জন্মবার্ষিকী উদযাপন করতে পেরেছি সকলের সহযোগিতা ও আন্তরিকতায়।
এসময়,ধারাবাহিক নানা আয়োজনে কাছে দূরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আমন্ত্রিত অতিথি,ধর্মপ্রিয় নবীপ্রেমিক,ভক্ত আশেক অনুসারীদের উপস্থিতি বিশিষ্ট আলেম,আল্লামা আয়োজন স্থলমিলন মেলায় পরিণত হয়।
মওলানা আমজাদ হোসাইনের বিশেষ দোয়া-মোনাজাতে মধ্য দিয়ে ইহকাল পরকালের মুক্তি ও সকলের দীর্ঘয়ু সুস্থতা কামনায় সমাপ্তি হয়। শেষে সকলে একে অপরের সাথে কোলাকুলি-আলিঙ্গন,মিষ্টিখাওনো ও তবুরুক বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্যঃ আল্লামা ইকবাল হজরত আলীর শানে বলেছেন-
মুসলিমে আওয়াল শাহে মারদান আলী ইশক রাও সারমাই ঈমান আলী।(প্রথম মুসলমান জগতের বাদশাহ আলী ঈমানী ঐশ্বর্য তার যার ভালোবাসা আলী।(রাঃ)রাসুল(সা) আরও বলেছেন;’আমি জ্ঞানের শহর আলী তার দরজা।’ নিজ প্রিয়তম কন্যা নবী দুলালী ফাতেমা(আ) হজরত আলীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হোন আর এই বংশধারায় হাসান ও হোসেন সহীহ হাদিসে আছে যারা বেহেশতের যুবাদের নেতা তাদের ধরায় আবির্ভাব হয়।
হাদিসে এমনটাও পাই যে,মোমেন ছাড়া হযরত আলীকে কেউ ভালোবাসতে পারেনা,আর মোনাফেক কদাই আলী(রাঃ) উনাকে ভালোবাসতে পারেইনা তাই সেকালে এই মানদণ্ড নিয়ে সাহাবীগণ ইসলামের ভূখণ্ডে মোমেন ও মোনাফেক খুজতেন।আজও ১৪০০বছর অতিবাহিত হবার পর মোমেনগণ হযরত আলী এর ভালোবাসাকে ধারণ করে উম্মাহর শান ও জৌলুস বৃদ্ধির তরে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
হযরত আলীর সর্বপ্রথম নবী(সঃ)এর সাথে নামাজ পড়া।মৃত্যুর পূর্বেও তার উত্তরসূরী হিসেবে ঘোষণা,মুসলিম জাহনের চতুর্থ খলিফা। হযরত আলীর যার সম্পূর্ণ নাম হলো আলি ইবনে আবু তালিব। ইসলাম অনুসারে বিশ্বাস করা হয় যে, তিনিই প্রথম ব্যক্তি,যিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তার পিতার নাম আবু তালিব ইবনে আব্দুল মুত্তালিব এবং মায়ের নাম ছিল ফাতিমা বিনতে আসাদ ।