স্টাফ রিপোর্টার:
কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে যৌতুকের টাকা না দেয়ায় গৃহবধু মোছা: ময়না সহ একই পরিবারের ৪জনকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষ। গত মঙ্গলবার বেলা দুই টার দিকে জেলা সদরের ৮নং মারিয়া ইউনিয়নের বগাদিয়া তালতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধু মোছা: ময়না জেলা সদরের তালতলা গ্রামে মো: নজরুল মিয়ার মেয়ে।
এ বিষয়ে বুধবার মেয়ের ‘মা’ মোছা: রোকিয়া বাদী হয়ে মেয়ের জামাই মো: সোহেল মিয়াকে প্রধান আসামী করে আরো ৫জনকে আসামী করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত মো: সোহেল জেলা সদরের বগাদিয়া তালতলা গ্রামের মো: বাবুল মিয়ার পুত্র।
মামলার অন্য আসামীরা হলো: পিতা অজ্ঞাত মো: বাবুল মিয়া, রিপন মিয়া, কবির মিয়া, জুয়েল ও মোছা: আমেনা বেগম।
মামলার বিবরণে জানাযায়, বিগত ৩বছর পূর্বে মো: নজরুল ইসলামের মেয়ে মোছা: ময়নার সাথে বিয়ে হয় পাশ^বর্তী বাড়ীর মো: বাবুল মিয়ার ছেলে মো: সোহেল মিয়ার সাথে। বিবাহের পর থেকে প্রতিমাসে যৌতুকের জন্য তার শুশুর-শাশুরী, দেবর তারা বিভিন্নভাবে মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার মোছা: ময়নাকে যৌতুকের জন্য তাকে বেধরক মারধর করে। একপর্যায় মেয়ের বাবা মো: নজরুল তার প্রতিবাদ করলে মেয়ের স্বামী মো: সোহেল, শুশুর বাবুল, দেবর ও তাদের আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে মেয়ে, মেয়ের বাবা, বোন ও তাদের বাড়িতে বেড়াইতে আসা তার নানীর উপর দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি দ্বারা হামলা চালায়। এক পর্যায় তাদের ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তারা কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
যৌতুকের হামলার স্বীকার মোছা: ময়না বলেন, যৌতুকের টাকা চেয়ে আমাকে প্রায়ই মারধোর করে। আমার জামাই, শুশুর ওরা ইয়াবার ব্যবসা করে। আমি তাদেরকে বাঁধা দিলে আমাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি এর সুষ্ঠ বিচার দাবী করি।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার এস আই মো: নয়ন বলেন, আমার কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক- খায়রুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক - সোহেল রানা
সম্পাদকীয় কার্যালয়- ৫২২ আইনুল্লাহ স্কুল রোড, স্বল্পমারিয়া, বএিশ, কিশোরগঞ্জ।
০১৯১২৫৫০৭২৭,০১৭২৪৫৭৪২১৭
Copyright © 2024 কালের নতুন সংবাদ. All rights reserved.