মোঃ হামিদার রহমান নীলফামারী প্রতিনিধি
চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে একটি ইঞ্জিনের সংঘর্ষে দুইজন চালক ও দশজন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, শিলিগুড়ি থেকে ছেড়ে আসা মিতালি এক্সপ্রেস ট্রেনটি চিলাহাটি থেকে নেয়ার জন্য পার্বতীপুর থেকে আসা একটি ইঞ্জিন চিলাহাটি এসে হোম সিগনালে দাঁড়িয়ে ছিল, এর মধ্যে ৮ টা ৩০ মিনিটে চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। ঘন কুয়াশার কারণে চালক হোম সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকা ইঞ্জিনটিকে দেখতে না পাওয়ায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে ইঞ্জিন ২ টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দাঁড়িয়ে থাকা ইঞ্জিনটি প্রায় ৫০০ গজ দূরে ছিটকে যায় ও রুপসার ১১ টি বগির মধ্যে ৫ টি বগি ট্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যাত্রীদের মধ্যে দশজন সামান্য আহত হয়। তারা নিজ নিজ ব্যবস্থায় চিকিৎসা নিয়ে চলে যায়। মিতালীর পাওয়ার ইঞ্জিনের ড্রাইভার তহিদুল আলম ও মাজেদ মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা শেষে মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন মহিলা ফাতেমা বেগম জানান যে, আমি বাড়ির বাইরে লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে ছিলাম এসময় বিকট শব্দে রুপসা ট্রেনটি ইঞ্জিনকে ধাক্কা দিল। তখন ঘন কুয়াশায় কিছু দেখা যাচ্ছিল না। মিতালীর ইঞ্জিনটি ২০ মিনিট ধরে আউট সিগনালে দাঁড়িয়ে ছিল এবং হর্ণ দিচ্ছিল। কয়েকজন লোক আহত হওয়া দেখেছি।
আরো একজন প্রত্যক্ষদর্শী গোলাম সারওয়ার জানান যে, আমি আউট সিগনালে ইঞ্জিনটিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রুপসা ট্রেনটিকে দৌড়ে গিয়ে থামানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু ঘনকুয়াশার কারণে দেখা না যাওয়ায় ট্রেনটি গিয়ে ইঞ্জিনটিকে ধাক্কা মারে । তখন বিকট শব্দে দাঁড়িয়ে থাকা ইঞ্জিনটি প্রায় ৫০০ গজ দূরে ছিটকে যায়।
এ ঘটনায় স্টেশনে দায়িত্বে থাকা সহকারী স্টেশন মাস্টার টুটুল চন্দ্র সরকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার পর তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার মোছাঃ নাজমিন আক্তার বলেন যে, আমি দায়িত্বে ছিলাম না, তাই এ সম্পর্কে কিছু বলতে পারব না।
মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১ টা ৪৫ মিনিটে চিলাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে পৌছে ২ টা ২৫ মিনিটে অন্য একটি ইঞ্জিন দ্বারা ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পরবর্তিতে ৭ ঘন্টা বিলম্বে ৩ টা ৩০ মিনিটে রুপসা এক্সপ্রেস চিলাহাটি থেকে ছেড়ে যায়।