সোহেল রানা রাজশাহী
নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর- বড়াইগ্রাম) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা মোজাম্মেল হক (৬৮) মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন) । বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা ৪০ মিনিটে গুরুদাসপুর পৌর এলাকায় তার নিজ বাসভবনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ সময় তার পরিবারের কোন লোকজন ছিলেন না। মৃত্যুকালে তার স্ত্রী সহ তিন ছেলে ও অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায় গত বুধবার বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ শেষে গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপি নেতা আয়নাল হকের জানাজায় অংশ নিতে গুরুদাসপুরে আসেন।এবং জানাজায় অংশ গ্রহণ করেন। এরপর বৃহস্পতিবার সারাদিন তিনি নিজ বাড়িতেই ছিলেন। রাত ১০টার দিকে সময় তারা হঠাৎ করে তার মৃত্যুর সংবাদ পান।
তবে সে সময় পরিবারের লোকজন কেউ ছিলেন না। মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পর পরই তিনিসহ দলের লোকজন তার বাসভবনে যান। পরে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পরিবারের লোকজন সহ দলীয় নেতাকর্মীদের তার মৃত্যুর খবরটি পৌঁছে দেন। তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে স্ত্রী-সন্তান রাতেই গুরুদাসপুরে পৌঁছেছেন।
তারা আরো জানান, ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ( ধানের শীষ) নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি সে সময় গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি এডাবের সাবেক চেয়ারম্যানও ছিলেন। তিনি ছিলেন বিএনপির একজন নিবেদিত প্রাণ। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি এলাকায় স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এছাড়া বিভিন্ন রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করেছেন। তার মৃত্যুতে বিএনপি’র একজন অভিভাবক হারালেন বলে যোগ করেন তিনি।
এদিকে বিএনপি’র সাবেক সংসদ সদস্য মোজাম্মেল হকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশসহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী এডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, জেলা বিএনপির কমিটির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ,সহ গুরুদাসপুর উপজেলা বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মী।
সাবেক এমপি মোজাম্মেল হকের বড় ছেলে ব্যারিস্টার আবু হেনা মোস্তফা কামাল রাতেই জানিয়েছেন, শুক্রবার বাদজুম্মা গুরুদাসপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পর মিরপুর শাহ আলী (রাঃ) মাজার শরীফে বাদ এশা তার দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।