রাজ্জাকুন্নাহার সুমী
ভাম্যমান প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ।
কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার একটি অন্যতম বিদ্যালয়, আগরপুর গোকুল চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মজিবুর রহমানের (৫৬)বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও নারী কেলেংকারীর অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেন এ বিদ্যালয়ের দাতা পক্ষ।
দাতা পক্ষ শ্রী গুরু দাস মোদক বাজিতপুর উপজেলা রিপোটার্স ক্লাবের সাংবাদিকসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও অনলাইন সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। তার মতে, তার বাপ – দাদা আগরপুর গোকুল চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র – ছাত্রী ও স্কুলের উন্নয়নের জন্য মোট ৬৬ শতাংশ জমি দান করেন। স্কুল বাবদ ৫০ শতাংশ ও বাজিতপুর উপজেলার সরারচর বাজারে সারে ১৬ শতাংশ (১৭ টি দোকান) যা থেকে দশ বছর পর পর ২৩,৭০,০০০( তেইশ লক্ষ সত্তর হাজার) টাকা ভাড়া আসে। দোকানের ভাড়ার টাকা স্কুলের উন্নয়নের জন্য ব্যয় করার কথা ( দলিল মূলে)থাকলেও তা প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান আত্মসাৎ করেন বলে জানান গুরু দাস মোদক। এছাড়া স্কুলের আয় -ব্যয়ের কোন হিসেব দিতে নারাজ প্রধান শিক্ষক। এছাড়া ৬- ৭ বছর আগে একই স্কুলের দশম শ্রেনির ছাত্রীর সাথে প্রধান শিক্ষকের কেলেংকারীর ঘটনা ঘটলে সেই ছাত্রীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। বর্তমানে স্হানীয়দের সাথে কথা বলে আরো জানা যায়, স্কুলের আয় থাকলেও তা এ স্কুলের উন্নয়নে যথাযথভাবে ব্যয় হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষক ২০০৩ সালে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে তার খেয়ালখুশি মত পকেট কমিটি করে স্কুলটি পরিচালনা করছেন। এছাড়া এ প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ সম্পর্কেও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। দাতা পক্ষ এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রধান শিক্ষক উদ্যত আচরণ ও অপমান করেন বলে অভিযোগ করেন গুরু দাস। এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিঃআদালত নং – ২, সি,আর,মোকদ্দমা নং -৩৩৮/২২,ধারা-৪০৬/৪২০ দঃবিঃ মামলা চলমান।
স্কুলের উন্নয়নের স্বার্থে সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনে এ প্রধান শিক্ষককে অপসারণের দাবি জানান দাতা পক্ষ।