সরকার অরুণ যদু,রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি \ কুড়িগ্রামের
রাজারহাট উপজেলার দূগার্রাম আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা অবিলম্বে আবাসন
প্রকল্প পূণঃনিমার্ণের দাবিতে উপজেলা শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও উপজেলা
নিবার্হী কর্মকতার্কে স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
ভূমিহীনদের জন্য নতুন ঘর নিমার্ণের প্রস্তুতি স্বরুপ পুরাতন আশ্রয়স্থল
নিলামে বিক্রয় করা হলেও তাদের আপাতত থাকার মতো ব্যবস্থা না করায় ৫মাস ধরে
দূর্বিষহ জীবন যাপন করছেন তারা।
জানা গেছে,রাজারহাট উপজেলা সদরে ১০০ভূমিহীন পরিবারের আবাসস্থল
দূগার্রাম আবাসন প্রকল্প এবং ছিনাই ইউনিয়নের ২০০পরিবারের বসবাসের
জন্য জয়কুমোর আবাসন প্রকল্প নিমার্ণের পর থেকে উল্লেখযোগ্য সংস্কার না
হওয়ায় ঘরগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। এঅবস্থায় সংশ্লিষ্ট কতর্ৃপক্ষ নতুন ঘর
নিমার্ণের লক্ষ্যে গত আগষ্ট মাসে আবাসন বাসিন্দাদের ঘর ছাড়ার নির্দেশ
প্রদান করলে তারা ঘর ছেড়ে দেন। সেপ্টেম্বর মাসে দুই আবাসনের পুরাতন ঘরের
লোহার অ্যাঙ্গেল,টিন,সিড়ি,ইট প্রভৃতি মালসামগ্রী নিলামে বিক্রি করেন
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ। এরপর থেকে দুই আবাসনের ৩০০পরিবারের দুই
সহস্রাধিক মানুষ খোলা আকাশের নীচে,অন্যের জমি,উঠান,পুকুর পাড়,বাগান
বাড়ি ও ঝোপে ঝাড়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন। তবে গত ৫মাসেও আবাসন প্রকল্প
দুটির পূণঃনিমার্ণ কাজ শুরু না হওয়ায় প্রচন্ড শীতে বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে
মানবেতর দিনতিপাত করে আসছেন দুই আবাসনের বাসিন্দারা।
বৃহঃবার এরই প্রতিবাদে ও অনতি বিলম্বে আবাসন পূণঃনির্মাণের দাবিতে
উপজেলার দূর্গারাম আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা উপজেলা শহরে বিক্ষোভ
প্রদর্শন করে উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
এসময় আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম জানান,আপাতত যেখানে
আছি,জায়গার মালিক জমি ছাড়ার তাগিত দিচ্ছেন। বিভিন্ন এনজিও গুলো
বাড়ি না থাকায় আবাসন বাসিন্দাদের ঋনদান বন্ধ করে দিয়েছে। বাড়ি না
থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ভ্যান ও অটো চালকরা চার্জ দিতে
না পারায় তারা বেকার হয়ে পড়েছেন।
একই প্রকল্পের বাসিন্দা দুলালি বেগম (৪৮) বলেন,“৩বেটা-৩ বউ,৬নাতি-
নাতনী নিয়্যা ৪মাস থাকি মানষের বাড়ির আগ্নাত দুকনা ধাপরী করি আছং।
কাজকর্ম বন্ধ,খাওয়া দাওয়ারও সমস্যা । দুকনা ধাপরি ঘরত শীতত কষ্ট করি আর
কতদিন থাকা যায়।’’
একই অবস্থা উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের জয়কুমোর আবাসন প্রকল্পের। এই
প্রকল্পের দুইশত পরিবারের মানুষগুলোও এখন গৃহহারা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতার্ সাজিবুল করিম এর নিকট নম্বর
সংগ্রহ করে এই প্রকল্পের কাজ তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্টের
সংশ্লিষ্ট সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসারের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার
যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় তার মতামত পাওয়া যায়নি।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়াদর্ী বাপ্পী
বলেন,আবাসনের বাসিন্দারা দূর্বিষহ অবস্থায় আছে,ঘর নিমার্ণের বিষয়ে শুরু
থেকেই আমাকে কেউ অবগত বা যোগাযোগ করেনি। তবে আপাতত কিছুটা
হলেও কষ্ট লাঘবের জন্য তাদেরকে কম্বল সহ অন্যান্য সহযোগীতা করা হবে। #