সোহেল রানাঃ রাজশাহী আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ১৭টি আবাসিক হলের সমন্বিত হল সমাপনী।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে প্রতিটি হলের শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত হয়ে ভ্যানগাড়িতে বক্স বাজিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠতে দেখা যায়। এরপর বেলা ১১টায় সব হলের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাবাস বাংলাদেশ মাঠে মিলিত হয়।
শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম ও অধ্যাপক এম হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর, হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহবায়ক ড. সুজন সেনসহ সব হলের প্রাধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।
এগ্রোনমি বিভাগের শিক্ষার্থী চৈতি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে এটাই আমাদের শেষ প্রাপ্তি। পাঁচ বছর শিক্ষাজীবন শেষে এ স্বীকৃতি আমাদের কাছে খুবই আনন্দের। হল আমাদের দ্বিতীয় বাসা। এ বাসা ছেড়ে চলে যাওয়া আসলেই অনেক কষ্টের। তবুও দেশের স্বার্থে যেতে হবে। আবারও ফিরে আসবো আমাদের ভালোবাসার এ মতিহারে।
সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থী তাসনিম বলেন, আজকের দিনটার জন্য আমরা অপেক্ষা করছিলাম। আমাদের ১৭ হলের বন্ধু-বান্ধব মিলে একত্রিত হতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। বিদায় তো নিতেই হবে আজ আমরা নিচ্ছি কাল আমাদের জুনিয়ররা নিবে। কারণ অন্যকে জায়গা করে দিয়ে বিদায় নেওয়াই মানবধর্ম। তবে সবসময় স্মৃতির পাতায় থাকবে মতিহারের সবুজ চত্বর।
সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবু হুরাইরা বলেন, বন্ধুদের সঙ্গে কতশত আড্ডা, স্মৃতি জমে আছে এ ক্যাম্পাসে। সবকিছু ত্যাগ করে সবাইকে ছেড়ে চলে যেতে হবে। হল সমাপনী আমাদের কাছে কষ্টের দিন হলেও আমরা আনন্দ করছি। বন্ধুদের ছেড়ে চলে যাওয়া আসলেই কষ্টের। কিন্তু নতুনদের সুযোগ দিয়ে আমাদের যেতেই হবে।
হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক ড. সুজন সেন বলেন, সমন্বিত হল সমাপনী গত বছরের মতো এ বছরও আমরা পালন করছি। হলের সব শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আমাদের আয়োজন সুন্দরভাবে শেষ করতে পারবো। আমার প্রিয় শিক্ষার্থীরা ভালো জায়গায় অবস্থান করবে সেটাই আমার প্রত্যাশা। তারা সাবেক হয়ে আবারও তাদের ক্যাম্পাসে ও হলে ঘুরতে আসবে।
বিকেল ৪টায় আলোচনা সভা, ক্রেস্ট বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যাহ্ন ভোজের ব্যবস্থা রয়েছে।