ডেস্ক রিপোর্ট
বঙ্গবন্ধু অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে সিলেট-বরিশাল এবং বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবলের ফাইনালে রংপুর-খুলনা বিভাগ। বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে ২৯ ডিসেম্বর ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সদয় সম্মতি জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব মেজবাহ উদ্দিন, ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী সহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং ক্রীড়া পরিদপ্তরের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হওয়া “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) ২০২২ এর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় ৮টি বিভাগীয় দলের ১৪৪ জন খেলোয়াড় অংশ নেয়। যেখান সেমিফাইনালে ঢাকা বিভাগকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় বরিশাল বিভাগ। আরেক সেমিফাইনালে রংপুর বিভাগকে হারিয়েছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন সিলেট বিভাগ। বরিশাল এবং সিলেট বিভাগের ফাইনাল ম্যাচটি আর্মি স্টেডিয়ামে ২৯ ডিসেম্বর বেলা ১২.১৫ মিনিটে শুরু হবে। এদিকে “বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭) ২০২২” এর সেমিফাইনালে ঢাকা বিভাগকে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে টিকে রয়েছে রংপুর বিভাগ, আরেক সেমিফাইনালে রাজশাহী বিভাগকে হারিয়ে ফাইনালে টিকে রয়েছে খুলনা বিভাগ। ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বেলা ২.১৫ মিনিটে। ফাইনাল ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন দলকে দেয়া হবে ৩ লাখ টাকা এবং রানার্স আপ দল পাবে ২ লাখ টাকার প্রাইজমানি। এছাড়া চ্যাম্পিয়ন প্রত্যেক খেলোয়াড়কে চার আনা পরিমান স্বর্ণ এবং রার্নাস আপ দলের খেলোয়াড়দের ৩ ভরি পরিমান রৌপ্য সহ পদক দেয়া হবে।
এবারের প্রতিযোগিতায় সারা দেশের উপজেলা, জেলা, বিভাগ এবং জাতীয় পর্যায়ে অংশ নেয় মোট ১,১০,৬৬৪ জন বালক এবং বালিকা। প্রতিটি পর্যায় শেষে প্রতিভাবান খেলোয়াড় সুযোগ পায় পরবর্তি পর্যায়ে। সর্বশেষ জাতীয় এই আয়োজন শেষে বাছাইকৃত ৪০ জন বালক এবং ৪০ জন বালিকাকে দুই মাসের আবাসিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এছাড়া এই প্রশিক্ষণ থেকে প্রতিভাবান ১৫ জন বালক এবং ১৫ জন বালিকাকে দেশের বাইরে (ব্রাজিল/স্পেন) উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার কথা জানান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। সংবাদ সম্মেলন শেষে ফাইনালে জায়গা পাওয়া চার দলের অধিনায়কদের নিয়ে ট্রফি প্রদর্শন করা হয়।