শাফায়েত নূরুল:
কিশোরগঞ্জের জেলা এরই মধ্যে হাওর উদ্যোষিত উপজেলা নিকলী। সেই উপজেলায় জারইতলা ইউনিয়নের সাজনপুর গরুর হাটটি গত কয়েকবছর ধরে এলাকার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য গরুর বাজার হিসেবে পরিচয় বহন করে আসছে।
গত তিন বছর নবেল করোনা ভাইরাসের কারণে বাজারটি কিছুদিন গরুর হাট বন্ধ ছিল। এই বছর এই বাজারের ইজারার মূল্য দাড়িয়েছে ৪১ লক্ষ টাকা। ক্রেতা বিক্রেতাদের (আঞ্চলিক ভাষায় ছুট) প্রত্যেকের চারশত টাকা করে একটি গরু নিম্নে দুইশত টাকা করে দিতে হয়। গরুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলা সহ ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বি-বাড়িয়া, নেত্রকোনা থেকে পাইকাররা এই গরু বাজারের নিরাপত্তার কারণে গরু, মহিষ, ছাগল সূলভ মূল্যে কিনতে পারেন। প্রতি ছোট গরুর দাম এই বছর ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা, মধ্যম সাইজের গরু ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকায় ও বড় গরু ১ লক্ষ টাকা হতে দেড় লক্ষ টাকায় কিনতে পারে বলে অনেকে সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন। এদিকে প্রতি ছাগলের মূল্য ৭ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে ছাগল কেনা যায়। মহিষ প্রতিটির দাম ৫০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকার মধ্যে কিনতে পারেন বলে অনেক বিক্রেতারা জানিয়েছেন। তবে এই বছর বন্যা হওয়ার কারণে গরুর দাম অনেকটা কম। ভারতীয় গরু এই বছর না আসার সম্ভাবনা খুবই কম।
সাজনপুর গরুর বাজারের ইজারাদার মোঃ আলম মিয়া সহ এই বাজারের ইজারাদাররা জানান, এই বাজারে কোন চাঁদাবাজি নেই, নিরাপত্তা বিষ্টনির মধ্যদিয়ে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের তারা সেবা দিয়ে আসছেন বলে উল্লেখ করেন। তারা বলেন, শুধু ঈদ-উল-আযহার বাজার নয় সব সময় ক্রেতা বিক্রেতাদের সেবা দেওয়াই তাদের প্রধান কাজ। নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শাকিলা পারভীন জানান, সাজনপুর গরুর বাজারটি এই জেলার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য গরুর বাজার বলে স্বীকার করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক- খায়রুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক - সোহেল রানা
সম্পাদকীয় কার্যালয়- ৫২২ আইনুল্লাহ স্কুল রোড, স্বল্পমারিয়া, বএিশ, কিশোরগঞ্জ।
০১৯১২৫৫০৭২৭,০১৭২৪৫৭৪২১৭
Copyright © 2025 কালের নতুন সংবাদ. All rights reserved.