শাফায়েত নূরুল:
কিশোরগঞ্জের নিকলী সদর ইউনিয়ন কুর্শা হাওর সহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি ইউনিয়নে কৃষকের জমি থেকে ভেকু দিয়ে ৩ টি ইটভাটার মধ্যে মাটি নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে কৃষকের শত শত একর জমি ভেকু দিয়ে ইট খলার মধ্যে মাটি নেওয়ার ফলে যেমন জমির উর্বরতা শক্তি কমছে, অন্যদিকে এসব ইটখলায় ইট পুড়নোর ফলে এসব দূষিত ধোঁয়ায় নিকলী সদরের ৮-১০টি গ্রামের গাছপালা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ হাঁপানি, সর্দি, কাঁশি সহ কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। এসব ইটভাটার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারছে না যুগ যুগ ধরে। এদিকে ইটভাটার ধোঁয়ায় জমির ধানী ফসল, আম, জাম, লিচু, নারিকেল সহ বিভিন্ন ফসল একবারে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নিকলী সদর ও পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন গুলোর পরিবেশ একেবারে দূষিত হয়ে পড়ছে বলে এলাকাবাসীদের মন্তব্যের শেষ নেই। অন্যদিকে যে জমিতে ইরি বোরো ধান ৮০-৯০ মন হতো সেই জমিতে এখন বর্তমানে ৫০-৬০ মন দর একর প্রতি ধান হবে বলে অনেক কৃষক মনে করছেন। ইটভাটার ধোঁয়ায় যেমন পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, তেমনি ভাবে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার ফলে জমির উর্বরতা শক্তি দিন দিন কমে যাচ্ছে। এই বিষয় নিকলী নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শাকিলা পারভীনের সাথে কথা বললে তিনি জানান,ভেকু দিয়ে জমি থেকে মাটি কাটলে অবশ্যই আইনানুগ ভাবে ব্যবস্থা নিবেন বলে উল্লেখ করেন।