আবু হানিফ পাকুন্দিয়া(কিশোরগঞ্জ)প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ১০৬নম্বর শৈলজানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা হলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.মিজানুর রহমান ও সহকারী শিক্ষক মো.শাহিনুর।
ওই গ্রামের বাসিন্দা ও বিদ্যালয়ের স্থানদাতা আলাউদ্দিন মাস্টার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর এসব অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ও সহকারী শিক্ষক শাহিনুর সম্পর্কে আপন দুই ভাই এবং শৈলজানি গ্রামের বাসিন্দা। তারা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় ইচ্ছেমতো বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছেন। তাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষিকাদের সঙ্গে অসদাচারণ, সেচ্ছাচারিতাসহ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও তারা দুজন মিলে বিধি বাহির্ভূতভাবে তাদের ভাবিকে বিদ্যালয়ের সভাপতি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এনিয়ে বিদ্যালয়ের স্থানদাতা একই গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন মাস্টার ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে লিখিত আবেদন করেন। পরিপ্রেক্ষিতে ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গত বুধবার কিশোরগঞ্জ সদর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক সরেজমিনে তদন্ত করেন।
তবে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.মিজানুর রহমান। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘আলাউদ্দিন মাস্টার দীর্ঘদিন ধরে তাদের বিরোধিতা করে আসছেন। বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যে অভিযোগ করে হয়রানি করছেন। এতে বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।’
জেলা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশ মোতাবেক ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।