প্রতিনিধি নরসিংদীঃ নরসিংদীর বেলাবতে প্রতিষ্ঠান বিরোধী নানা কার্যক্রমের বিচার চেয়ে এক সহকারী শিক্ষক লোকমান হোসেনের অপসারন ও শাস্তির দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ।
গতকাল মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক, জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা,বেলাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে এ অভিযোগ দেয়া হয়।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের ধুকুন্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লোকমান হোসেন বিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করতে বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র করে আসছে। তিনি চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন উপলক্ষে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে
নির্বাচন স্থগীত করেন। অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়,সহকারী শিক্ষক
লোকমান হোসেন চলতি মাসের ২২ তারিখে নিজেই উপস্থিত থেকে অন্যান্য
শিক্ষকদের নিয়ে বিদ্যালয়ের পুরাতন খাতা ও পুরাতন গাইড বই বিক্রি করেন। নিজেই বই ও খাতাপত্র বিক্রি করে নিজেই সাংবাদিকদের দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করে বিদ্যারয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে। এছাড়াও শিক্ষকরা অভিযোগ করেন,উনি বিদ্যালয়ে কোন কিছু হলেই কারনে অকারনে ছবি তুলে রাখেন। নারী শিক্ষকদেরও অকারনে অপ্রস্তুত থাকা অবস্থায় ছবি তুলেন। এইসব ছবি তিনি আবার
বিদ্যালয়ের প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপের কাছে হস্তান্তর করে বিতর্কের সৃষ্টি করেন
তিনি।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন,লোকমান হোসেন স্থানীয় লোক হওয়ায় বিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারসহ বিদ্যালয় বিরোধী একের পর এক মামলা ও ষড়যন্ত্র করে বিদ্যালয়ের পাঠদানে সমস্যা সৃষ্টি করেছে। উনি নিজেই পুরাতন খাতাপত্র ও পুরাতন বই বিক্রি করে উল্টো পত্রিকায় নিউজ করেছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃমনিরুজ্জামান হোসেন বলেন, একজন মাত্র শিক্ষক যার কারনে বিদ্যালয়ে পাঠদানসহ সার্বিক কাজে সমস্যা সৃষ্টি করছে। তিনি একটি
পক্ষকে সাপোর্ট করেন। একারনে একের পর এক মিথ্যা মামলা,এলাকার কিছু লোক নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। আমরা তার অপসারন চাই। একারনে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক লোকমান হোসেন বলেন,আমি স্কুলের ক্ষতি হবে এমন কোন কাজ করিনি। শিক্ষকদের কাছ থেকে অন্য কথা বলে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
বিদালয়ের এডহক কমিটির বর্তমান সভাপতি ভাস্কর অলি মাহমুদ বলেন, পুরাতন খাতা বা বই বিক্রির ব্যাপারে আমি কিছুই জানতামনা। বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক কর্তৃক সহকারী শিক্ষক লোকমান হোসেন বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।
উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মতিউর রহমান
বলেন,অভিযোগের ব্যাপারে ইউএনও স্যার কথা বলবে। আর বই বিক্রি করার ব্যাপারে যে তথ্যটি আমরা শুনেছি, তার কোন সত্যতা পাইনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়শা জান্নাত তাহেরা বলেন,অভিযোগ পত্রটি
সম্ভবত ডাক ফাইলে রয়েছে। আমি দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।