ডেস্ক রিপোর্ট
বিজ্ঞাপনের কেন্দ্রীয় করন করে সকল দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্রের সুষম বন্টন করতে হবে।* দেশের সকল সাংবাদিক ও সাংবাদিক সংগঠনগুলো তথ্য মন্ত্রনালয়ের অধিনে নিবন্ধন করতে হবে। সমাজ কল্যান সংগঠনের ন্যায় প্রতিবৎসর সকল সংগঠনকে অনুদান দিতে হবে।* প্রতি বৎসর রাষ্ট্রীয়ভাবে ১৪ ফেব্রুয়ারী প্রেস কাউন্সিল দিবস ও ৩রা মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করতে হবে।দেশের সকল সাংবাদিককে কল্যান ট্রাষ্টের সদস্য করতে হবে। ক্স তথ্য সুরক্ষা আইন ও প্রেস কাউন্সিল কতৃক সাংবাদিকদের জেল ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা আইন বাতিল এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কার করতে হবে।
বরাবর
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, তেজগাঁও, ঢাকা।
বিষয়: সাংবাদিকদের উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন এর স্মারকলিপি।
জনাব
আস্সালামুআলাইকুম।
প্রথমেই ‘ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন’ এর পক্ষ থেকে “দেশরত্ন জননেত্রী, মাদার অব হিউম্যানিটি, প্রেসবান্ধব সফল প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনি জেনে খুশি হবেন যে, ‘ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন’ দেশের সকল জেলা, উপজেলা, থানা থেকে শুরু করে সকল বিভাগ ও রাজধানীর সাংবাদিকদের অধিকার ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সাংবাদিক সংগঠনগুলোর ঐক্যবদ্ধ একটি সংগঠন। এই সংগঠনটি দেশের সকল সাংবাদিকদের স্বার্থ সংরক্ষণের মাধ্যমে দেশ ও জাতি গঠনের জন্য অতন্দ্র প্রহরীর মত কাজ করে চলেছে। দেশের নানা ক্রান্তিলগ্নে এই সংগঠন সভা সেমিনারসহ বিভিন্ন দিবস উদযাপন করে আসছে। রাষ্ট্রের অগ্রগতিতে ‘ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন’-এর ভূমিকা অতিব গুরুত্বপুর্ণ।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আইন করে সাংবাদিকদের রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ হিসাবে মর্যাদা দিয়ে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল গঠন করে দিয়েছেন-যা বর্তমানে সারা বিশ্বে ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত এবং প্রতিষ্ঠিত। সার্কভুক্ত দেশের প্রেস কাউন্সিলগুলোর অভিন্ন লক্ষ্য হচ্ছে-মধ্যম সারি এবং তৃণমুল সাংবাদিকদের স্বার্থ সংরক্ষণে কাজ করা। সে ভিশনকে সামনে রেখে আমরা কাজ করে চলেছি। জাতির জনক সাংবাদিকদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় ১৪ ফেব্রুয়ারী প্রেস-কাউন্সিল আইন তৈরীর মাধ্যমে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের শৃংখলা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। কিন্তু আজও এর বাস্তবায়ন হয়নি সঠিকভাবে।
আমরা আশা করি, বাংলাদেশের সরকারের প্রধান হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
সারা দেশে নিয়োজিত সংবাদকর্মীগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গি, রাজস্ব ফাঁকিবাজ, চোরাচালানি, মজুদদার, ভূমিদস্যু, খাদ্যে ভেজালকারী, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের মুখোশ উন্মেচন করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সকল গোয়েন্দা সংস্থা, রাজস্ব বিভাগসহ দুদককে সহযোগিতা তথা দেশের স্বার্থে সরকারকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। ফলে সকল অপরাধীদের জিঘাংসার শিকার হয়ে অনেক সংবাদকর্মী, সাংবাদিক, সম্পাদক, বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, থানা পর্যায়ে নিজের জীবন বিসর্জন পর্যন্ত দিয়েছেন। প্রকারান্তরে-সে সকল সাংবাদিকের হত্যার বিচার আজও হয়নি। অনেক সময় অপরাধীদের প্রভাবে সম্পাদক বা সাংবাদিকের নামে হয় মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা বা হয়রানিমুলক নানা ধরনের মিথ্যা মামলায় অনেকেই আজও হয়রানি, হত্যা, নির্যাতিত হচ্ছেন। আবার এত কিছুর পরও সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের খবর এ সকল সংবাদপত্রগুলো নিয়মিত দেশবাসির সম্মুখে তুলে ধরছে।
সংবাদপত্র শুধু রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভই নয়। এটি এখন বর্তমান সরকার কর্তৃক ঘোষিত একটি শিল্প। তাই এ শিল্পের উন্নয়নে সরকারের যথোপযুক্ত ভূমিকা রাখা আবশ্যক। জাতির বিবেক হিসাবে খ্যাত এই শিল্পখাতকে বাদ দিয়ে বা এড়িয়ে উন্নয়নশীল দেশ সম্ভব নয় বরং এর সঠিক প্রণোদনা ও পরিচর্যার মাধ্যমেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। আর এ জন্য প্রথমেই প্রেস-কাউন্সিলকে যুগোপযোগি শক্তিশালী করতে হবে। এ সেক্টরে সারা দেশে কত সাংবাদিক কাজ করছে, কতগুলো সংগঠন রয়েছে এর প্রকৃত কোন তথ্যচিত্র তথ্য মন্ত্রণালয় বা তথ্য অধিদফতর বা অন্য কোন দায়িত্বশীল সংস্থার কাছে নেই।
এছাড়াও সাংবাদিক সংগঠনগুলো কেউ রেজিষ্ট্রেশনবিহীন, কেউ সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তর থেকে রেজিষ্ট্রেশন নিয়েছেন আবার কেউবা জয়েন্ট ষ্টক রেজিষ্টার অব ফার্মস থেকে রেজিষ্টে
শন নিয়েছেন। কিন্তু কেউই তথ্য অধিদপ্তর বা প্রেস কাউন্সিলের কাছে নিবন্ধন করেননি বা করতে হবে এমন কোন নীতিমালাও নেই। দেশের অন্যান্য সেক্টরে এমন হ-য-ব-র-ল অবস্থা বোধ হয় আর কোথাও নেই। আমরা মনে করি, সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সংগঠনগুলোরও একটি শৃঙ্খলা থাকা আবশ্যক।