মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি
এতীম-অভিভাবকহীন,কেউ নেই ৩কন্যার রাজকীয় বিয়ে দিয়েছেন জমকালো বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনে অভিভাবক হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তর।
পেয়েছেন প্রধান মন্ত্রীর উপহারসহ নামিদামী ব্যক্তিদের উপহার- উপস্থিতি ও ছিল হাজার মানুষের রাজকীয় ভোজের সু-ব্যাবস্থ্যাসহ কমতি ছিল কোন কিছুই।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম অফিসার্স ক্লাবে উক্ত বিয়ে অনুষ্ঠান রাজকীয় আয়োজনে উৎসব মূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
তিন কন্যা চট্টগ্রাম রউফাবাদ সরকারি শিশু পরিবারের (বালিকা) সদস্য। ওদের অভিভাবক সরকার। তিন রাজকন্যার রাজকীয় বিয়ে সত্যিকার অর্থেই ছিলো রাজকন্যা ছিল না কমতি কোন কিছুই।
তিন কন্যা হলো মর্জিনা আক্তার,মুক্তা আক্তার ও তানিয়া আক্তার।তাদের শিশুকালে কুড়িয়ে পাওয়া,পিতা-মাত
,আত্মীয়-স্বজন কেউ-ই নেই তাদের,এতীম ও অভিভাবকহীন। মর্জিনা আক্তারের বিয়ে হয়েছে ওমর ফারুকের সঙ্গে, মুক্তা আক্তারের নুরু উদ্দিনের সঙ্গে এবং তানিয়া আক্তারের হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে। তিন জনের বরই স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত।
বিয়েতে আমন্ত্রিত হন প্রধানমন্ত্রীও। তবে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকতে না পারলেও তিন কন্যার জন্য পাঠিয়েছেন উপহার। এছাড়া আমন্ত্রিত অতিথিরাও সবাই সাথে করে নিয়ে এসেছেন সব দামী উপহার।
নানা ধারাবাহিক আয়োজনে নিয়ন আলোতে সাজানো হয় অফিসার্স ক্লাব। আমন্ত্রিতদের জন্য আয়োজন করা হয় রাজকীয় ভোজ। মেনুতে ছিলো কাচ্চি বিরিয়ানি, চিকেন রোস্ট, কাবাব, বোরহানি, পায়েস,মিনারেল ওয়াটার। তিন কন্যা ও তাদের বরদের জন্য সাজানো হয় রাজকীয় স্টেইজ, ছিলো সেলফি জোন,মিষ্টিপানের আয়োজন চা-কফি কিছুরই কমতি ছিলো না।
এই বিয়েতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরীসহ একাধিক এমপি.বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,সরকারী উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ প্রায় এক হাজার মানুষের জন্য ভোজের আয়োজন করা হয়।
এমন একটি বর্ণাঢ্য বিয়ে আয়োজনের জন্য চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমানের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাতেই হয়। কোন অভিভাবকহীন এতিম মেয়ের জন্য এতোটা জমকালো বিয়ের আয়োজন আর কখনো চোখে পড়েনি।