মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি।
চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর ১ নং ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি মোঃ নুরুজ্জামান খোকন (৪৫) হদিস চাই তার পরিবার।
নিখোঁজের পর দুই মাস অতিবাহিত হলে ও এখনো পর্যন্ত তার কোন হদিস মেলেনি। ফলে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটির অনুপস্থিতিতে তার পরিবার অর্ধাহারে অনাহারে চরম অসহায় অবস্থায় মানবেতর দিনাতিপাত করছে।
গত ২৬ জুলাই রাত্রে দুই মাস আগে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন নুরুজ্জামানের স্ত্রী পারভীন আকতার (৩৫)। এ পর্যন্ত কোন প্রকার সন্ধান পাওয়া যায় নি।
পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আবেদন জানিয়েছেন।
নিখোঁজ নুরুজ্জামান খোকন সীতাকুন্ড পৌরসভার মধ্যম এয়াকুব নগর এলাকার মোকাররম আলী মিস্ত্রি বাড়ির মৃত তাজুল ইসলামের পুত্র।
থানার অভিযোগ ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুলাই মঙ্গলবার চার সন্তানের জনক মোঃ নুরুজ্জামান (৪৫) আনুমানিক সন্ধ্যা ছয়টায় বাড়ী থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পর আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করে তার কোন সন্ধান না পাওয়া হতাশায় দুশ্চিন্তা দিশাহারা।
এ ব্যাপারে নিখোঁজ নুরুজ্জামান খোকনের স্ত্রী পারভীন প্রতিনিধিকে বলেন,সে নিখোঁজের পর থেকে আমি চার ছেলে মেয়ে নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে চরম অসহায় অবস্হায় দিন যাপন করছি। কাউকে সন্দেহ হয়কিনা জানতে চাইলে পারভিন জানায়,তার স্বামী নুরুজ্জামানকে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম মুরাদপুরের স্বামী পরিত্যক্ত, তিন সন্তানের জননী সালেহা বেগম ( ৩৭) নামে এক মহিলা ০১৮৮২-৯৯৭৩৯,ও ০১৮২১-৯৬১৭৪৩ নম্বর মোবাইল থেকে ফোন করত। এ মহিলা বিভিন্ন প্রলোভনে অনেক টাকা খেয়েছে। এখন এ মহিলা বা রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় অন্য কেউ তাকে অপহরণ করেছে কিনা সেটা আমি বুঝতে পারছিনা। আমি থানায় জিডি করার পাশাপাশি র ্যাব কে ও একটা অভিযোগ দিয়েছি। আমার স্বামী নিখোঁজের পর থেকে ছেলেমেয়েরা সারাক্ষণ তারা বাবার জন্য কান্নাকাটি করে। আমি তাদেরকে কি বলে সান্তনা দেব। এখন একদিকে পরিবারের পাঁচ জনের খাওয়া দাওয়ার চিন্তা, অন্যদিকে নিখোঁজ তাদের বাবার চিন্তা। তাই আমি আমি আমার ছেলে মেয়ে নিয়ে কোন রকমে খেয়ে পরে জীবন নির্বাহের জন্য সবার কাছ থেকে সহযোগীতা চাচিছ।
সীতাকুণ্ড থানায় অভিযোগ করার পর দুই মাস অতিবাহিত হলে ও এখনো আমি আমার স্বামীর খোঁজ পাইনি। আমি আমার স্বামীকে অক্ষত অবস্হায় ফিরে পেতে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সালেহা বেগম নামের এ মহিলার বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মোবাইল ফোনে বার বার ফোন করলে ও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি( তদন্ত) সুমন বনিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিনিধিকে বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে তাকে উদ্ধার করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে তাকে যে মহিলা ফোন করত তার বাড়িতে গিয়ে এবং স্হানীয় মেম্বার মারফত খবর দিয়ে তাকে থানায় ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তবে ফোনে কথা বলার কথা সে স্বীকার করেছে এবং বলেছে সে তার দুস্পর্কের আত্নীয় হয়।
আরো গভীরে তদন্ত চলছে,খুব শিগ্রিই সে উদ্ধার হবে।