সাখাওয়াত হোসেন হানিফ, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) : অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, লেবু বিক্রি হচ্ছে কেজিতে। তাও কেজি বিক্রি মাত্র ১০ টাকায়। বিভিন্ন সময়ে এই লেবুর পিস বিক্রি হয়েছে ১৫ টাকায়। বর্তমানে লেবুর চাহিদা বাড়লেও উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ বেশি হওয়ায় চাষিরা কম দামে বিক্রি করছেন। গত মঙ্গলবার সকালে বগুড়ার নন্দীগ্রাম সাপ্তাহিক হাটসহ বিভিন্ন বাজারে লেবু কেজি হিসেবে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, এরআগে নন্দীগ্রাম উপজেলায় তরমুজ কেজিতে বিক্রির কারণে নানা আলোচনা সমালোচনা ঝড় উঠে। এখন তরমুজের পর এবার লেবু নিয়ে ঝড় উঠেছে। আমরা জানি মূলত লেবু বিক্রি হয় হালি বা পিস হিসেবে। তবে বর্তমানে লেবুর চাহিদা বাড়লেও উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ বেশি থাকায় চাষিরা কম দামে বিক্রি করছেন। অনেক সময় লেবুচাষিরা বাজারে লেবু বিক্রি করতে এসে পাইকারি ক্রেতা না পাওয়ায় লেবু বিক্রি করতে পারছেন না। প্রতি কেজি লেবু বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ টাকায়। কিন্তু এখন থেকে কয়েক মাস আগে বেশ ভালো দামে লেবু বিক্রি করেছেন চাষিরা। তখন এক হালি লেবু ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর এখন মাত্র ১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
নন্দীগ্রাম হাটে লেবু বিক্রি করতে আসা আজিজুর রহমান হাঁক-ডাক দিয়ে কেজি দরে লেবু বিক্রি করেন। ক্রেতা সমাগম করতে তিনি বলছেন, লেবুর কেজি ১০। মাত্র ১০ টাকা, ১০ টাকা! হালির দিন শেষ। আসেন নিয়ে যান। তার এমন হাঁক-ডাক শুনে অনেকেই আসেন লেবু কিনতে। হালির তুলনায় কেজিতে লেবু বেশি হওয়ায় লেবু কিনতে তাকে ঘিরে ধরেন ক্রেতারা।
লেবুচাষি আবু বক্কর জানান, লাভজনক হওয়ায় উপজেলার অনেক মানুষ লেবু চাষে ঝুঁকেছেন। অনেক কৃষক ইতোমধ্যে সফলতাও পেয়েছেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে লেবুর দাম একেবারেই কমে গেছে।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আদনান বাবু বলেন, এই উপজেলায় লেবুর চাহিদা বেড়েছে। এজন্য লেবু চাষেরও আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। আর লেবুর ভরা মৌসুম বলে সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক- খায়রুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক - সোহেল রানা
সম্পাদকীয় কার্যালয়- ৫২২ আইনুল্লাহ স্কুল রোড, স্বল্পমারিয়া, বএিশ, কিশোরগঞ্জ।
০১৯১২৫৫০৭২৭,০১৭২৪৫৭৪২১৭
Copyright © 2024 কালের নতুন সংবাদ. All rights reserved.