মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি।
“আখেরি চাহার সোম্বা” দিনটি ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্য,তাৎপর্য ও গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে স্বরণীয় ঐতিহাসিক দিন। আখেরি চাহার সোম্বা মূলত আরবি ও ফার্সি বাক্য। প্রথম শব্দ ‘আখেরি’ আরবি ও ফার্সিতে পাওয়া যায়। যার অর্থ হলো- শেষ। ফার্সি ‘চাহার’ শব্দের অর্থ হলো- সফর মাস এবং ফার্সি ‘সোম্বা’ শব্দের অর্থ হলো বুধবার। অর্থাৎ ‘আখেরি চাহার সোম্বা’র অর্থ দাঁড়ায় সফর মাসের শেষ বুধবার।
আজ বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) আখেরি চাহার সোম্বা। সফর মাসের শেষ বুধবার শেষ নবী ও রাসূল হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এর দীর্ঘ অসুস্থতার পর সাময়িক সুস্থ হয়ে ওঠার দিনকে স্মরণ করে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে যে ইবাদত ও উৎসব প্রচলিত তাই ‘আখেরি চাহার সোম্বা’।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশের মুসলিমরা রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ দিনটি যথাযথ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্যের মাধ্যমে পালন করে থাকেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন গণমাধ্যমকে
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছেন। এ উপলক্ষে আজ বুধবার বাদ যোহর (দুপুর দেড়টা) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
ইতিহাস তথ্যসূত্রে ও সত্যতায় জানা যায় যে,হযরত মুহাম্মদ (সা.) জীবনের শেষ সময়ে বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার শরীরে প্রচণ্ড জ্বর ছিল।জ্বরের কারণে তিনি বারবার জ্ঞান হারাতেন। এ অবস্থায় নবী পরিবারের সদস্য ও সাহাবিরা উদ্বিগ্ন ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ওই নিরাশার মধ্যেই একদিন আশার আলো জ্বলে ওঠে। আজকের এই দিন কোন এক সকালে তিনি জ্ঞান ফিরে পেলেন। অনেকটা সুস্থ স্বাভাবিক আচরণ করেন। এরপর তাকে গোসল করানো হয়। নবীর সুস্থ হওয়ার ঘটনায় তার পরিবারের সদস্য ও সাহাবিরা আনন্দে আত্মহারা হন। খুশিতে তারা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে নফল নামাজ আদায় করেন। আল্লাহর নামে গরিব-দুঃখীর মধ্যে সামর্থ্য অনুযায়ী দান-খয়রাত করেন।