স্টাফ রিপোর্টার:
কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে প্রতিপক্ষের ছুড়িকাঘাতে মো: জুনায়েদ (২০) ও মো: সায়েম (১৯) নামের দুই যুবক গুরুতর আহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ আ: রহমানের ছেলে মিজান (২০) ওরফে বাবুর বিরেুদ্ধে। আহত জুনায়েদ ও মিজান মামা-ভাগ্নে সম্পর্ক হয় বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জুনায়েদের ভাই মো: হুমায়ূন প্রতিপক্ষ মিজানকে প্রধান আসামী করে আরও তিন জনের নাম উল্লেখ করে গত ৬ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং-১৩। জেলা সদরের ৮নং মারিয়া ইউনিয়নের রংগারকোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার অন্য আসামীরা হলো- ইউনিয়নের আব্দুর রহমানের ছেলে কাজল (৩৫), উমেদ আলীর ছেলে আ: রহমান (৫৫), নূরু মিয়ার ছেলে ছোট বাবু (২১)। আহতরা হলো একই ইউনিয়নের মো: আমির হোসেনের ছেলে জুনায়েদ ও মো: আউয়ালের ছেলে মো: সায়েম।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, মো: হুমায়ূন গং ও মিজানের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখে ইউনিয়নের রংগারকোণা গ্রামের পার্শ্ববর্তী একটি ব্রীজের উপর পূর্বে থেকে ওতপেতে থাকা মিজান ও তার বাহিনীরা দা, চাকু, কিরিজ ও লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিত হামলা করে। হামলার এক পর্যায় জুনায়েদ ও সায়েমকে ছুড়িকাঘাত করে পালিয়ে গেলে তাদের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে। তাদের গুরুতর অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করে। তাদের দু’জনের অবস্থা এখন খুবই আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জুনায়েদের ভাই হুমায়ন জানান, পূর্বে থেকে আমাদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত সোমবার ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে তারা আমার ছোট ভাই ও ভাগিনার উপর হামলা চালায়। আমি এর দৃষ্ট্রান্তমূলক বিচার চাই।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, আমরা এ ঘটনায় একটি মামলা রুজু করেছি। পরবর্তী তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।