1. admin2@kalernatunsangbad.com : admin : Admin
  2. admin@kalernatunsangbad.com : Khairul Islam :
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৪ অপরাহ্ন

এইমাত্র পাওয়া সংবাদ লিটারে ৪০ টাকারও কম দামে ডিজেল দেবে রাশিয়া

  • প্রকাশ কাল শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০২২
  • ২১৪ বার পড়েছে
News
অনলাইন ডেস্ক :-


বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামে অস্থিতিশীলতার কারণে চাপের মুখে বাংলাদেশ।লোকসান এড়াতে জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়েছে সরকার।এর প্রভাব পড়েছে সব ধরনের দ্রব্যমূল্যে,যা নিয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।এমন পরিস্থিতিতে কম দামে জ্বালানি তেল কিনতে রাশিয়ার দিকে হাত বাড়াচ্ছে সরকার।যদিও এর আগে রাশিয়া তেল বিক্রির আগ্রহ দেখালেও এগোয়নি বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার(১৬আগস্ট) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির(একনেক)সভা হয়।এ সভায় রাশিয়ার থেকে তেল আমদানি নিয়ে আলোচনা ওঠে।

কীভাবে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করা যাবে,তা পর্যালোচনা করে দেখার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।প্রতিবেশী দেশ ভারত যদি পারে,বাংলাদেশও রাশিয়া থেকে তেল কিনতে কেন পারবে না সেই প্রশ্নও করেছেন সরকারপ্রধান।

জানা গেছে,রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের নানা রকম নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।ফলে তেল কেনার গ্রাহক খুঁজছে দেশটি।গত সপ্তাহে বাংলাদেশের কাছে আবারো পরিশোধিত তেল বিক্রির প্রস্তাব পাঠায় রাশিয়ার তেল উৎপাদন ও বিপণন কোম্পানি রজনেফ্ট।

আগে তেল কেনায় আগ্রহী না হলেও এখন বাংলাদেশ বিষয়টি ভেবে দেখছে।এরই মধ্যে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়ে আলোচনা করতে কমিটিও গঠন করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন(বিপিসি)।

বিপিসি সূত্র বলছে,বর্তমানে প্রতি ব্যারেল (১৫৯ লিটার) ডিজেল আমদানি করতে ১২৫ডলারের মতো খরচ পড়ছে বিপিসির।অপরিশোধিত ক্রুড অয়েল আনতে খরচ পড়ছে ৯০ ডলার।তবে প্রতি ব্যারেল ডিজেল মাত্র সাড়ে ৫৭ডলারে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে দেবে রাশিয়ান তেল উৎপাদন ও বিপণন কোম্পানি রজনেফ্ট।সেই হিসাবে প্রতি লিটার ডিজেলে আমদানি খরচ পড়বে ৪০টাকারও কম।

বিপিসির কর্মকর্তারা বলছেন,তাদের(রাশিয়ান কোম্পানি) পক্ষ থেকে একাধিক প্রস্তাব এসেছে।এরমধ্যে একটি প্রস্তাব হলো-তারা চট্টগ্রাম বন্দরের কাস্টমস পয়েন্টে ডিজেল পৌঁছে দেবে।এর দাম পড়বে প্রতি টন ৪২৫ ডলার।১৫৯লিটারে ব্যারেল হিসাব করলে ব্যারেলপ্রতি দাম পড়বে ৫৭দশমিক ৪৩ ডলার।এ নিয়ে কাজ করছে সরকার।

বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ জাগো নিউজকে বলেন,কাজ চলছে।সরকার চাচ্ছে সংকট সমাধান করতে। আমাদের কমিটি সব পর্যালোচনা করে সরকারকে জানাবে। যেটা ভালো মনে হয়,সেই সিদ্ধান্তই সরকার নেবে। তার পরেই রাশিয়ার সঙ্গে চূড়ান্ত আলাপ হবে।যদিও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আছে,সেটা সরকার বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে।

কয়েকদিন আগে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও রাশিয়া থেকে তেল কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছিলেন। ওইদিন তিনি বলেন,বিপিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।একটি কমিটি করা হয়েছে।কমিটি আলোচনা করছে।

শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদসমূহ


প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST