অবিলম্বে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে এবং খুনিদের সব ধরনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে।কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
রবিবার রাতে জাতীয় সংসদ ভবন চত্ত্বরে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫আগস্টের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ও জাতীয় শোক দিবস ২০২২উপলক্ষ্যে“বঙ্গবন্ধু-শোক আমাদের শক্তি”শীর্ষক আলোচনা এবং মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তবে ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল এই দাবি জানান।
বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, আমরা শুনে থাকি, একটি অপশক্তি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা করেছে কিন্তু আমি বলবো এটি কোনো অপশক্তি নয় বরং প্রকৃত খুনিরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।খুনিরা সেদিন ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলে,হয়ে যাবে শেষ।তারা জানে না,বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা,বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ।ব্যক্তি মুজিবকে হত্যা করা যায় কিন্তু তার আদর্শকে হত্যা করা যাবে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন,খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাঙালি জাতিকে কলঙ্কিত করেছে।পৃথিবীর অনেক দেশে গিয়ে শুনতে হয় বাঙালি তাদের জাতির পিতাকে হত্যা করেছে।খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাঙালির বুকে কাল দাগ লাগিয়েছে।বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীরা পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক তাদের খুঁজে বের করে ফাঁসি কার্যকর করা হবে।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে ১৫ই আগস্টের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদদের স্মরণে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পথে বাংলাদেশের মানচিত্রে মোমবাতি প্রজ্জলন করেন তারা। মানচিত্রের বুকে আলোকিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়।ঠিক যেভাবে তিনি আলোর পথ দেখিয়েছিলেন পুরো জাতিকে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৩আসনের সংসদ সদস্য মোঃ সাদেক খান,ঢাকা-১৫আসনের সংসদ সদস্য মোঃ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ,ঢাকা-১৪আসনের সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টু,সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান,ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান,ডিএনসিসির কাউন্সিলরবৃন্দ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃসেলিম রেজা।