★ বিপুল ইসলাম আকাশ,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ-
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া গ্রামে আবুল কালাম উদ্যোক্ত হওয়ার ইচ্ছা থেকে একটি ফ্রীজিয়ান জাতের গাভী দিয়ে খামার শুরু করেন।কিন্তু কোন প্রশিক্ষণ না থাকা পল্লি পশু চিকিৎসক জহুরুল হকের ভুল চিকিৎসায় স্বপ্ন ভেস্তে যায় আবুল কালামের।ভুল চিকিৎসার কারণে মারা যায় গাভীটি।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,ঘগোয়া গ্রামের মৃত আনোয়ার মিয়ার ছেলে আবুল কালাম মিয়ার গাভীটি এলার্জীজনিত কারণে অসুস্থ হওয়ায় গত শনিবার(৬আগষ্ট)পল্লি পশু চিকিৎসক জহুরুল হককে ফোনকলে ডাকেন গাভীটি কে দেখার জন্য।তিনি কালাম মিয়ার বাসায় এসে গোয়ালঘরে প্রবেশ করে গাভীটি কে দেখার পর ইনজেকশন দেওয়ার কথা বলে তখনি কালাম মিয়ার স্ত্রী করিমন বেগম ইনজেকশন দিতে বাধা দেন এবং অন্য ওষুধ দেওয়ার জন্য বলেন।পরে পল্লি পশু চিকিৎসক জহুরুল হক ১টি ইনজেকশন দেন গাভীটি কে।পরের দিন বিকালে আবার ২টি ইনজেকশন দেন এবং গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ৩টি ইনজেকশন দিলে গাভীটি তার কিছুক্ষণ পর মারা যায়।কালাম মিয়া বলেন,আমি উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখে একটি গাভী পালন দিয়ে খামার শুরু করি।আমি সেই গাভীকে নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকতাম। ভাবছিলাম একদিন বড় খামারি হবো, কিন্তু সে স্বপ্ন ভেঙে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল।সব শেষ করে দিল এই ভূয়া চিকিৎসক।গাভীটি প্রতিদিন ১২লিটার দুধ দিত সেটা বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাতাম। এখন গাভীটি না থাকায় আমি পথে বসে গেলাম।খোঁজ নিয়ে জানা যায়,পল্লি পশু চিকিৎসক জহুরুল হক ইতোপূর্বেও চিকিৎসা দিতে একাধিকবার ভুল চিকিৎসা দেওয়ায় অনেকের গরু মেরে ফেলেছেন।
অভিযুক্ত পল্লি পশু চিকিৎসক জহুরুল হক বলেন,আমি সঠিক চিকিৎসা দিয়েছি।এতে গরু মরলে আমি কি করবো?
এবিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ফজলুল করিম বলেন,ইতোমধ্যে একটি গবাদি পশু মারা যাওয়ার কথা শুনছি কিন্তু এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।লিখিত অভিযোগ পেলে সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।