টাঙ্গাইলে চলন্ত বাস জিম্মি করে ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় কুষ্টিয়া-নারায়ণগঞ্জ রুটে ঈগল পরিবহন সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(৪আগস্ট)গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পরিবহনের লাইনম্যান পলাশ।বুধবার সকাল থেকে এ রুটে বাসের টিকিট বিক্রিও বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান,ওই বাসের চালকের নাম মনি আহমেদ ও হেলপার দুলাল।প্রায় ২০দিন আগে মনি বাসচালক হিসেবে যুক্ত হন।মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর থেকে বাসটি ছেড়ে যায়।পথে কুষ্টিয়ার হোসেনাবাদ,ডাংমড়কা,আল্লারদর্গা,রাজাপুর,কাচিকাটাসহ বিভিন্ন কাউন্টার থেকে প্রায় ২৮জন যাত্রী ওঠেন।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঈগল পরিবহনের একটি বাস কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা প্রাগপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। বাসটি সিরাজগঞ্জের কাছাকাছি দিবারাত্রি হোটেলে রাতের খাবারের বিরতি নেয়।পরে রাত দেড়টার দিকে ফের যাত্রা শুরু করে।পথে কাঁধে ব্যাগ বহনকারী ১০-১২জন যাত্রী ওঠেন ওই বাসে।বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর যাত্রী বেশে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে বাসটির নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মারধর করে বাসের এক নারী যাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।এ ঘটনায় বাসের এক যাত্রী বাদী হয়ে টাঙ্গাইলের মধুপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা থেকে রাজা মিয়া(৩২)নামের একজনকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)।রাজা কালিহাতী উপজেলার বল্লা গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।