রংপুরের পীরগাছায় মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা গলিত মরদেহটি পাশ্ববর্তী গ্রামের লিপি খাতুনের বলে দাবি করছেন তার তার পিতা রফিকুল ইসলাম ও ভাই শামীম মিয়া।লাশ উদ্ধারের পর গত সোমবার রাতে তিনি থানায় গিয়ে নিজের বোন বলে দাবি করেন ভাই শামীম মিয়া।
শামীম মিয়া অনন্তরাম বড়বাড়ি এলাকার রফিকুল ইসলাম ঠশার ছেলে।নিখোঁজ লিপি খাতুনের ছবি ও ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে থানায় গিয়ে শামীম মিয়া জানান,গত ২৩জুলাই সকাল অনুমান ৯টা ৩০ঘটিকার সময় লিপি খাতুন(৩০)নিজ বাড়ি হইতে ঢাকা সাভারে গার্মেন্টস করার জন্য রওনা হন।
তারপর হইতে বাড়ির কারো সাথে তার যোগাযোগ নাই। ইতিপূর্বে লিপি খাতুনের একটি বিবাহ হয়েছিল নবীনগর এক পুলিশের সঙ্গে।কিছুদিন ঘর সংসার করার পর মেয়েটির মাথা খারাপ থাকায় স্বামী তাকে তালাক দেন।তারপর থেকে লিপি খাতুন ঢাকা সাভার গার্মেন্টসে চাকরি করতো।তার পরিবারের লোকজন ঢাকা সাভারেই থাকেন।
এদিকে গ্রামবাসীদের সুত্রে জানা গেছে,নিহত লিপি খাতুন নিয়মিত নেশা করতেন এবং দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত। এ থেকেই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে এলাকায় বিষয়টি চাউর হয়েছে।