বিপুল ইসলাম আকাশ,সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধিঃ-
দুলালের যখন স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজে পড়াশোনা করার কথা, ছেলেদের সাথে খেলাধুলা করার কথা,এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠার কথা,কিন্তু সেই বয়সে বসে থাকতে হচ্ছে ঘরের এক কোণে কিংবা রাস্তায় পাশে।
অন্য ছেলেরা যখন খেলাধুলা করে দুলাল তখন চেয়ে চেয়ে দেখে আর বোবা কন্ঠে চিৎকার করে কাঁধে।কেননা তাকে যে চলতে হয় বাবার ঘাড়ে উঠে আবার কখনো মায়ের কোলে উঠে।এ যেনো অসহায়ত্বের বেড়া জালে আবদ্ধ দুলাল।কথাগুলি বলছি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চরঅঞ্চলের লকিয়া পাড়া গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলীর পরিবারের প্রতিবন্ধী ছেলে মোঃ দুলাল মিয়াকে (২০) নিয়ে।দুলাল জন্মর পর থেকেই বাক-প্রতিবন্ধি এবং দু-পা অচল যার ফলে কথা বলতে পারে না এবং হাটতেও পারে না।জন্মর পর থেকেই মা এবং বাবার পিঠে উঠে চলাচল করতে হয় তাকে।তাই চলাচলের জন্য বছর ৬ আগে একটি হুইল চেয়ার থাকলেও এখন আর নেই। যার কারণে দুলাল কে সারাদিন ধরে বসে থাকতে হয় রাস্তায় পাশে কিংবা ঘরের এক কোণে।দুলালের মায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,ঠিক মতো ভাত খাবার পাই না পোলারে কই থেকে হুইল চেয়ার কিনে দিমু। পোলার বাপ এক দিন কাজ না করলে সংসার চলবে না।কেউ পোলাডারে একটা( চিয়ার) কিনে দিতো তাহলে পোলাডা কষ্ট কম হতো।হরিপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য ওমর ফারুক বলেন, আমার ওয়ার্ডে দুলাল এর বাসা। আমি গতকাল ১৫ জুন ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। তবু দেখি ইউনিয়ন পরিষদ এর নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এর সাথে কথা বলে যতটুকু সহযোগিতা করা সম্ভব আমি চেষ্টা করব।