জমিজমা সংক্রান্ত ঘটনায় গভীর রাতে পীরগাছা মহিলা কলেজের সহকারি অধ্যাপক নাজমুল হকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর,৪লাখ টাকা লুটপাট ও তার স্ত্রী-সন্তান হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে তার ছোট ভাই তাজমুল হক ও ভাড়াটিয়া লোকজন।গত শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার অন্নদানগর ইউনিয়নের জগজীবন গ্রামে অধ্যাপকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।এসময় স্ত্রী-সন্তান পাশের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে জীবনে রক্ষা পেলেও অধ্যাপককে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন তাজমুল হক।এ ব্যাপারে গতকাল শনিবার সকালে পীরগাছা থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়,ওই গ্রামের মৃত খয়বর হোসেনের বড় ছেলে পীরগাছা মহিলা কলেজের সহকারি অধ্যাপক নাজমুল হক তার ছোটভাই তাজমুল হকের নিকট সম্প্রতি এক লাখ ৩০হাজার টাকা কর্জ নেন।এই টাকার জন্য নাজমুল হক ছোট ভাইকে একটি জমি ছেড়ে দেন।তখন থেকে তাজমুল হক জমিটি ভোগদখল করে আসছিলো।গতকয়েক দিনআগে নাজমুল হক কর্জের টাকা ফেরত দিলে চাইলেও তাজমুল হক নেননি।উল্টো বড় ভাই নাজমুল হককে মেরে ফেলার হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিলেন।গত শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তাজমুল হক ধারালো অস্ত্র ও কয়েকজন ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে নাজমুল হকের বাড়িতে হামলা চালায়।তারা কুড়াল দিয়ে দরজা-জানালা কেটে ভিতরে প্রবেশ করে চেয়ার-টেবিল,ডেসিং টেবিল ও আলমারী ভাংচুর করে নগদ ৪ লাখ টাকা লুটিয়ে নেয়।ঘটনার সময় নাজমুল হক বাড়িতে না থাকায় তার স্ত্রী রোকসানা আফরোজ(৪০)ও শিশু সন্তান ইলমা তাসফিয়া(৮)কে হত্যার চেষ্টা করে।এসময় দৌড়ে মা-মেয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেন।পরে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে পালিয়ে যান হামলাকারীরা।
সহকারি অধ্যাপক নাজমুল হক বলেন,হামলাকারীরা আমাকে খুজছিল।আমি বাড়িতে না থাকায় আমার ঘরে থাকার আসবাবপত্র ভেঙ্গে চুরমার করে দেন।আলমারীতে রাখা নগদ ৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যান।আমার স্ত্রী-সন্তানকেও তারা মেরে ফেলার জন্য খুজতে থাকে।এখনও আমাকে মেরে ফেলার জন্য হুমকি দেয়া হচ্ছে।
এঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত তাজমুল হকের সাথে মোবাইল ফোনে বেশ কয়েক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)সরেস চন্দ্র বলেন,একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।