ভিডিওটি দেখতে নিচে ক্লিক করুন :-
রংপুরে পীরগাছায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে ফিরে পেতে ব্যর্থ হলে আপন শ্যালক রোকনুজ্জামান রোকন(৫০)কে কুপিয়ে হত্যা করলেন মিজানুর রহমান সুফিয়ান(৪০)নামের এক ব্যক্তি। সোমবার ২১শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের মক্রমপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানাযায়,পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের সুবিদ গ্রামের মৃত্যু দুদু মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান সুফিয়ানের সাথে একই ইউনিয়নের মক্রমপুর গ্রামের মৃত্যু তয়েজ উদ্দিন মাষ্টারের মেয়ে সুমি আক্তারের সাথে বিয়ে হয়।বিয়ের পর থেকে তাদের সাংসারিক জীবনে মাঝে ঝগড়া বিবাদ ও কোন বনিবনা হচ্ছিল না।
তাই সুমি আক্তার তার স্বামী সুফিয়ানকে তালাক দেয় কিন্তু সুফিয়ান আবার সুমিকে ফিরে পেতে জোড়াজুড়ি করে সুমি আক্তার সুফিয়ানের কাছে ফিরে যেতে চাইছিলেন না এরই মাঝে সুমি আক্তার ঢাকায় একটি হাসপাতালে চাকুরী নিয়েছিল।কয়েকদিন আগে ছুটিতে বাড়িতে আসে সুমি।আবার তাকে নিজের সংসারে ফিরে পেতে পায়তারা করছেন সুফিয়ান।
কিন্তুু সুমির এক জবান সে আগে সংসারে ফিরে যাবেন না।ছুটি শেষে ঢাকায় ফেরার প্রস্তুতি নিয়েছিল সুমি।এরই মধ্যে সুমির ঢাকায় যাওয়ার খবর পেয়ে যায় সুফিয়ান।আজ সন্ধ্যা সাতটার সময় সুমি ও তার বড় ভাই রোকনুজ্জামান রোকনকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাস স্ট্যান্ডে যাচ্ছিল।পথিমধ্যে উ্যতপেতে থাকা সুফিয়ান মকরমপুর প্রাইমারি স্কুলের সামনে পালিয়ে থাকে।সুমি ও তার ভাই রোকন ঐ পথে আসা মাত্রই সুফিয়ান ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান রোকন।পরে সুমিকে ও আঘাত করে সুফিয়ান।
সুমিকে গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।পরে সুফিয়ান মকরমপুর শশুর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে নিজেই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।তাৎক্ষণিক পীরগাছা থানার পুলিশ গিয়ে ঘাতক সুফিয়ানকে পীরগাছা হাসপাতালে নিয়ে আসে।তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে প্রত্যক্ষদর্শী জানান।
পীরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ সরেস চন্দ্রের ফোন ব্যস্ত থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।