নিউজ ইডিটর :মোঃ লিমন তোকদার।
রাষ্ট্রপতির প্রত্যাশা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন(ইসি)নিয়োগে আইন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন,প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনা।নির্বাচন কমিশন গঠনে পাস হওয়া বিল নিয়ে আগে থেকেই প্রস্তুতি ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন,রাষ্ট্রপতি চেয়েছিলেন আইনের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন এবং প্রধান কমিশনার এবং কমিশনাররা নির্বাচিত হোক।আমরা পার্লামেন্টে নিয়ে আসলাম।এই আইন করার দাবি আওয়ামী লীগেরও ছিল বলে তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার(২৭ জানুয়ারি)রাতে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব এবং অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন,২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি যখন আমাদের সকলকে ডেকেছিলেন তখনই তিনি বলেছিলেন, আমাদেরও প্রস্তাব ছিল।অনেক দিন থেকে মোটামুটি প্রস্তুত করে রেখেছিলাম।
গত ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন,রাষ্ট্রপতির সঙ্গে যখন ডায়ালগে করতে গেলাম তখন বললেন,তিনি চান এই বিলের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন এবং প্রধান কমিশনার এবং কমিশনাররা নির্বাচিত হোক।আমরা পার্লামেন্টে নিয়ে আসলাম।কিন্তু প্রস্তুতি তো আমাদের বহু আগে থেকে ছিল।আমাদেরও দাবি ছিল সবসময়।আমরাই করবো এটা।অন্য কোনও দল করেনি।আওয়ামী লীগ আবার করলো।জনগণের ভোট সুরক্ষিত হল।নির্বাচনের আরেকটা ধাপ আমরা এগিয়ে গেলাম।গণতন্ত্রকে আরও আমরা শক্তিশালী করলাম।জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নির্বাচন কমিশন বিল বৃহস্পতিবার দুপুরে সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।রাষ্ট্রপতি সই করার পর গেজেট আকারে প্রকাশ হলেই প্রথমবারের মত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে আইন পাবে বাংলাদেশ।
সরকার প্রধান তার বক্তব্যে বলেন,এই পার্লামেন্টে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিলটা পাস করতে পেরেছি।আজ আমাদের বিরোধী দল বললেন উনারা কিছুই জানেন না।মাননীয় স্পিকার,যতগুলি সংশোধনী এনেছে এই বিলে,২২টা সংশোধনী বিরোধী দলের কাছ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনিবলেন,এখানে জাতীয় পার্টির সংশোধনী,বিএনপির সংশোধনী,জাসদের সংশোধনী আমাদের ওয়ার্কার্স পার্টির সংশোধনী সকলের সংশোধনী আমরা গ্রহণ করেছি।তাতে এই বিল আর সরকারি বিল না এটা বিরোধী দলে তৈরি করা বিল হয়ে গেছে।একটা বিলে যদি ২২টা সংশোধনী গ্রহণ করা হয় অধিকাংশ হয়ে গেল বিরোধী দলের।
বিল পাস করার জন্য স্পিকার ও সংসদ সদস্যদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।